বিক্রম রায়, কোচবিহার: সদ্যই টিম পিকে ও দলের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগরে সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। স্বাভাবিকভাবেই অনেকে মনে করতে শুরু করেছিলেন হয়তো দলও ছাড়বেন তিনি। শুরু হয়েছিল কানাঘুঁষোও। সেই জল্পনাই আরও জোড়ালো হল বৃহস্পতিবার। কারণ, এদিন প্রায় ১ ঘণ্টা বিধায়কের (MLA) বাড়িতে বসে তাঁর সঙ্গে কথা বললেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক (Nishith Pramanik)।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার তৃণমূল (TMC) বিধায়কের কোচবিহারের বাড়িতে যান বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। প্রায় একঘণ্টা সেখানে ছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এতেই সকলের মনে প্রশ্ন জাগে, তবে এবার সত্যিই পদ্মশিবিরের পতাকা হাতে তুলে নিচ্ছেন বিধায়ক? যদিও এহেন চিন্তাভাবনার কোনও কারণ নেই বলেই দাবি তৃণমূল বিধায়ক ও বিজেপি সাংসদের। নিশীথ প্রামাণিকের কথায়, “মিহিরবাবুর সঙ্গে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আজ কোনও রাজনৈতিক কথা হয়নি। একেবারেই ব্যাক্তিগত কারণেই দেখা করা।” একই কথা বলেছেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল বিধায়ক।
[আরও পড়ুন: ‘দেহ টুকরো করে ছড়িয়ে দিতাম’, পুলিশি জেরায় স্বীকার গাইঘাটা কাণ্ডে ধৃত বধূ ও তার প্রেমিকের]
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সাংগঠনিক পদ ত্যাগ করার পর নিজের কার্যালয়ে লাগানো তৃণমূলের পতাকা-সহ সমস্ত ব্যানার খুলে ফেলেন মিহিরবাবু। কার্যালয়ের সামনে নতুন ব্যানারে লেখা হয়, “কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামীর কার্যালয়”। ধর্মসভার সেই কার্যালয়ের ভিতরে থাকা মুখ্যমন্ত্রী ছবি সরিয়ে সেখানে স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো মনীষীদের ছবি লাগানো হয়। পিকের সংস্থা “আইপ্যাক”-এর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন বিধায়ক। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কোনও ঠিকাদারি সংস্থাকে দিয়ে রাজনৈতিক দল পরিচালিত হতে পারে না। তাতে ক্ষতি হবার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।” এসবের পর বিজেপি সাংসদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা শুধুমাত্র সৌজন্যমূলক সাক্ষাত বলে মানতে নারাজ রাজনৈতিক মহল।