হেমন্ত মৈথিল: সপরিবারে মহাকুম্ভের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি। রবিবার সকালে কুম্ভস্নান সারার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য যোগী সরকারের প্রশংসা করলেন তিনি। বলেন, ''অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।'' নীতীনের পাশাপাশি এদিন কুম্ভে ডুব দেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও।
রবিবার সকালে বিশেষ বিমানে প্রয়াগরাজ নামেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি। সেখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। সেখান থেকে সরাসরি কুম্ভের উদ্দেশে রওনা দেন মন্ত্রী। তাঁর আগমণ উপলক্ষ্যে ছিলেন বিশেষ ব্যবস্থা। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেওয়ার পর পুজোপাঠ করতে দেখা যায় তাঁকে।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এদিন মন্ত্রী বলেন, "গঙ্গাস্নান ও পুজোপাঠ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। আমার শহর নাগপুর থেকে হাজার হাজার মানুষ গাড়িতে করে এখানে আসছেন। তাঁদের সকলকে মা গঙ্গা আশীর্বাদ করুন।" এছাড়া ভালো ব্যবস্থাপনার জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসা করে গড়করি বলেন, "রাজ্য সরকার এই বিরাট অনুষ্ঠান ও পুণ্যার্থীদের ভিড় সামাল দিতে যথোপযোগ্য ব্যবস্থা করেছে। পুলিশ ও প্রশাসন সত্যিই দক্ষ হাতে গোটা পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে। সবমিলিয়ে এ এক অভূতপূর্ব আয়োজন। হাজার হাজার ভক্ত সড়ক পথেও এখানে আসছেন। আমি সকলের জন্য প্রার্থনা করছি তাঁরা যেন সুস্থভাবে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারে।"
নীতীন গড়করির পাশাপাশি এদিন মহাকুম্ভে স্নান করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও। পুণ্যস্নানের পর সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, "সঙ্গমে স্নান করে ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিতে পারা আমার কাছে অত্যন্ত সৌভাগ্যের। মহাকুম্ভ শুধু কোনও ধর্মীয় আয়োজন নয়, বরং ভারতের আধ্যাত্মিক শক্তি ও একতার সবচেয়ে বড় মিলনক্ষেত্র।"
