সংবাদ প্রতিদদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ সীমান্তের উত্তাপ এসসিও মঞ্চে। হাসি-করমর্দন দূরের কথা, সৌজন্য বিনিময় করতেও দেখা গেল না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে। ফলে এসসিও সম্মেলনে সম্পর্কের বরফ গলার যে ক্ষীণ আশা দেখা দিয়েছিল, কার্যত তাও মিলিয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার উজবেকিস্তানের সমরখন্দে শুরু হয় দু’দিনের ‘সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন’-এর সম্মেলন। শুক্রবার সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। কুটনীতিকদের একাংশ আশা করেছিলেন, চমক দিয়ে আলোচনার টেবিলে বসতে পারেন মোদি ও জিনপিং। কিন্তু তেমনটা হয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, লাদাখে সীমান্ত সমস্যার সমাধানে বেজিংয়ের থেকে কোনও স্থায়ী রফাসূত্র মেলেনি। তাই জিনপিংয়ের (Jinping) সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেননি মোদি। তবে দুই দেশের সম্পর্কে বরফ যে আরও জমাট বেঁধেছে তা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের শরীরী ভাষায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
[আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কেন মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন না পুতিন?]
এদিন, সম্মেলনের প্রথা মেনে অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নেন মোদি ও জিনপিং। কিন্তু, পাশাপাশি দাঁড়ালেও তাঁদের ‘বডি ল্যাঙ্গুয়েজ’ই পরিস্থিতির জটিলতা তুলে ধরে। হাসি-করমর্দন দূরের কথা, সৌজন্যের খাতিরে দু’জনকে হাসি মুখেও দেখা গেল না। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, অতীতে ডোনাল্ড ট্রাম্প, জো বাইডেন থেকে পুতিনের মতো রাষ্ট্রনেতাদের আলিঙ্গন করতে দেখা গিয়েছে মোদিকে। এ যেন ‘নমো কূটনীতির’ এক অঙ্গ। কিন্তু জিনপিংয়কে যেভাবে ইচ্ছাকৃত ভাবে এড়িয়ে গেলেন মোদি তাতে বেজিংয়ের কাছে বার্তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে মামাল্লাপুরমে মোদি ও জিনপিংয়ের ‘ইনফর্মাল সামিট’ নয়া দিগন্তের সূচনা করেছিল। দুই তরাষ্ট্রপ্রধানের সম্পর্কের ‘রসায়ন’ নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিল চিনা সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস। তার আগে ২০১৮ সালে ইউহানে (পরবর্তী কালে করোনার উৎসস্থল) দেখা করেন দুই পড়শি দেশের প্রধান। কিন্তু ২০২০ সালে গালওয়ানে আগ্রাসন চালিয়ে নিজের আসল চেহারা ফের প্রকাশ করে বেজিং। আর তা যে কোনওভাবে মেনে নেওয়া হবে না সেই বার্তাই দিয়ে এলেন মোদি।