চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: মকর সংক্রান্তির আর বাকি মাত্র ৬দিন। স্বাভাবিকভাবেই পৌষের শেষে গ্রামগঞ্জে চলছে পুলি, পিঠা তৈরির তোড়জোড়। অতিমারী পর্বের পর পিঠে তৈরির সরঞ্জাম বিক্রিতে ভাটা। প্রবল সমস্যায় মাটির পাত্র তৈরির শিল্পী ও বিক্রেতারা। মুর্শিদাবাদের কান্দি, খড়গ্রাম, বড়ঞা সব ব্লক এলাকার কুমোর পরিবারগুলিরই কার্যত একই অবস্থা। মৃৎশিল্পীদের আবেদন, বিষয়টি রাজ্য সরকার নজর দিলে ভাল হয়।
কান্দি থানা এলাকার দোহালিয়া পালপাড়ার বাসিন্দা সুমিত পাল, বিপত্তারণ পালরা জানান, “এবার পিঠে পুলি তৈরির জন্য মাটির তৈরি সড়া, খালা, তৈরি করা হলেও ক্রেতাদের দেখা নেই। অন্য বছর সারাদিনে যেখানে পিঠে তৈরির সরঞ্জাম জোগান দেওয়া কষ্টকর হত, এবছর সেখানে বিক্রিই নেই। ফলে আমাদের সংসার চালানো সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ কান্দির দোহালিয়া গ্রামের আরেক কারিগর স্বপন পাল জানান, ‘‘পিঠা তৈরির সরঞ্জাম বিগত বছরগুলিতে যেখানে ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল সেখানে এবছর ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বিক্রির দাম রেখেও ক্রেতা মিলছে না। ফলে এই মাটির শিল্প এখন বন্ধের মুখে।’’
[আরও পড়ুন: কোটি টাকায় পুরভোটের টিকিট কিনেছিলেন TMC কাউন্সিলর! বিস্ফোরক অভিযোগ দলেরই নেতার]
অপরদিকে বিষয়টি নিয়ে কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, “ সম্ভবত করোনা চলে গেলেও এখনও সেই রেশ রয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই মাটির পিঠে তৈরির সরঞ্জাম বিক্রি প্রায় হচ্ছে না বললেই হয়। পাশাপাশি প্লাস্টিকের জিনিসপত্রে বাজার ছেয়ে যাওয়ায় মাটির জিনিসের দাম কমে যাচ্ছে। কদরও কমে যাচ্ছে। আমরা ওই মৃৎশিল্পীদের অন্য ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করব।’’ যদিও বিষয়টি নিয়ে কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, “পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। ওঁদের পাশে থেকে সাহায্য করতে পারলে খুশি হব।’’