সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও কি রণদামামা বাজবে ’38th Parallel’-এ? ফের কি যুদ্ধের আগুন জ্বলে উঠবে কোরীয় উপদ্বীপে? এসব প্রশ্ন উসকে ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়া। কমিউনিস্ট দেশটির একনায়ক কিম জং উনের আদেশেই নাকি এই উৎক্ষেপণ। এদিকে, এহেন আগ্রাসী কার্যকলাপের জেরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বুধবার একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করে কিমের ফৌজ। উত্তর কোরিয়ার (North Korea) রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের একটি সেনাঘাঁটি থেকে ছোঁড়া মিসাইলটি আছড়ে পড়েছে জাপান সাগরে। ‘ইওনহাপ নিউজ এজেন্সি’ সূত্রে খবর, পিয়ংইয়ংয়ের সুনান এলাকা থেকে ছোঁড়া ব্যালিস্টিক মিসাইলটি প্রায় ৭৬০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে সমুদ্রে আছড়ে পড়ে। এর আগে ৩ নভেম্বর একটি ব্যালিস্টিক ও দু’টি স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী। প্রায় সাড়ে তিনশো কিলোমিটার দূরে লক্ষ্যবস্তুতে আছড়ে পড়েছিল স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলি।
[আরও পড়ুন: একের পর এক শিশুদের যৌন নির্যাতন করে খুন, ফিলিপিন্সে ১২৯ বছরের সাজা অপরাধীকে]
এদিকে, এই ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশগুলির জনসাধারণের মধ্যেও। সিওল জানিয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে যৌথভাবে কিমের সেনার গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে। মিসাইল উৎক্ষেপণের পর সেনাবাহিনী ও প্রশাসনকে ‘সতর্কতামূলক পদক্ষেপ’ করার নির্দেশ দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। দেশটির বিমান, জাহাজ ও অন্যান্যও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার যুদ্ধংদেহী মেজাজে দেখা যায় উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১৮০টি যুদ্ধবিমানকে। সীমান্তের কাছে এহেন বিপুল বিমানবহর দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পালটা ৮০টি ফাইটার জেট পাঠায় দক্ষিণ কোরিয়া। এর মধ্যে ছিল আমেরিকার দেওয়া অত্যাধুনিক এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমানও। বিশ্লেষকদের মতে, দুই কোরিয়ার মধ্যে যেভাবে উত্তেজনা বাড়ছে তাতে ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আরও একটি সংঘাতের সম্মুখীন হতে চলেছে বিশ্ব। এবং তেমনটা হলে এই লড়াইয়ে জড়িয়ে যাবে আমেরিকা, চিন ও রাশিয়ার মতো দেশগুলি। ফলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজতে বেশি দেরি হবে না।