সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে নাজেহাল হলেও অস্ত্র তৈরি থামাচ্ছে না উত্তর কোরিয়া (North Korea)। দেশে খাদ্যাভাব দেখা দিলেও প্রচুর টাকা খরচ করে নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে দেশটি। একনায়ক কিম জং উনের নিশানায় রয়েছে আমেরিকা। এমনটাই সতর্কবার্তা দিয়েছেন এক শীর্ষ মার্কিন সেনকর্তা।
[আরও পড়ুন: পুলিশের চাকরি ছেড়ে অ্যাডাল্ট স্টার, ব্রিটিশ যুবতীর আয় কত জানেন?]
মার্কিন সেনার নর্দার্ন কমান্ডের প্রধান সাফ জানিয়েছেন, শীঘ্রই নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করতে চলছে পিয়ংইয়ং। মার্কিন বায়ুসেনার শীর্ষ কর্তা জেনারেল গ্লেন ভনহেরেক সেনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটিকে জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে মিসাইল পরীক্ষা না করার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হবে না বলে সাফ ইঙ্গিত দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। অদূর ভবিষ্যতে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করতে চলেছে কিমের সেনা। ‘NBC News’ সূত্রে খবর, উত্তর কোরিয়ার মিসাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে আচমকা কার্যকলাপ বেড়েছে বলে মার্কিন সেনার কাছে খবর রয়েছে। এছাড়া, স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে উত্তর কোরিয়ার আনবিক কেন্দ্রেও গতিবিধি বেড়েছে। সেখানে পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য ইউরেনিয়ম সমৃদ্ধ করা হয়। যদিও সেনেটে মার্কিন সেনকর্তা আত্মবিশ্বের সুরে জানিয়েছেন, যে কোনও হামলা রুখে দিতে ও যোগ্য জবাব দিতে সক্ষম মার্কিন ফৌজ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরু দিকে কমিউনিস্ট দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজে দৈত্যকার ক্ষেপণাস্ত্রের প্রদর্শন করে উত্তর কোরিয়া। বিশ্লেষকদের মতে, দৈত্যাকার হাতিয়ারটি হচ্ছে ‘সাবমেরিন লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইল’ (SCBM) বা ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ করার মতো ক্ষেপণাস্ত্র। এটি আণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম বলেও দাবি।অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই অত্যাধুনিক মিসাইলগুলির নাম ‘Pukguksong-5’। সাবমেরিনে বয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো অত বড় ক্ষেপণাস্ত্র সত্যিই অবাক করার মতো। এর আগে ২০১৭ সালে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। মূলত আমেরিকাকে ভয় দেখিয়ে কূটনৈতিক মঞ্চে সুবিধা আদায় করতেই শক্তিপ্রদর্শন করছেন কিম বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।