সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একগুঁয়ে, প্রচণ্ড বদমেজাজি। পান থেকে চুন খসলেই গর্দান নেওয়ার আদেশ। দুনিয়ার কাছে এমনটাই ছবি উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের। কিন্তু এহেন দোর্দন্ডপ্রতাপ কিমের রাষ্ট্রনেতার চোখেই দেখা গেল জল। হ্যা, করোনা মহামারীর সময় দেশবাসীর ‘প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ’ হওয়ায় অশ্রুসিক্ত নয়নে ক্ষমা চাইলেন কিম (Kim Jong Un)।
[আরও পড়ুন: থামছে না লড়াই, নাগর্নো-কারাবাখে গণহত্যার আশঙ্কা আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর]
সংবাদমাধ্যম ‘The Guardian’ সূত্রে খবর, শনিবার শাসকদলের ৭৫তম প্রতিষ্টা দিবসে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে করোনা মোকাবিলায় ‘ব্যর্থতা’ স্বীকার করে নেন কিম। রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ভাষণ চলাকালীন একাধিকবার নিজের চশমা খুলে চোখ মুছেন কিম। তিনি বলেন, “এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমাকে। কমরেড কিম ইল সাং ও কিম জং ইলের মূল্যবোধ মাথায় রেখেছি আমি। কিন্তু আমি দুক্ষয়ত দেশবাসীর এই বিশ্বাসের মর্যাদা আমি রাখতে পারিনি। মহামারীর সময় শত চেষ্টা সত্বেও তাঁদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছি আমি।”
উল্লেখ্য, শনিবার কমিউনিস্ট দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজে দৈত্যকার ক্ষেপণাস্ত্রের প্রদর্শন করে উত্তর কোরিয়া। বিশ্লেষকদের মতে, দৈত্যাকার হাতিয়ারটি হচ্ছে ‘ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল’ (ICBM) বা আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র। এটি আণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম। বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর দাপটের মধ্যেই শনিবার কিম ইল সুং স্কোয়ারে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেন হাজার হাজার সৈনিক। মঞ্চে দাঁড়িয়ে কুচকাওয়াজ দেখেন দেশের একনায়ক কিম জং উন। সেখানেই একটি বিশাল সামরিক ট্রাকে করে মিসাইলটি প্রদর্শন করা হয়। মার্কিন বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই অত্যাধুনিক ট্রাক বা মিসাইল লঞ্চার থেকেই আণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রটিকে যে কোনও জায়গায় নিয়ে ছোঁড়া যায়।