সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতলেন নোভাক জোকোভিচ। রড লেভার এরিনায় নেমেছিলেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। ৬-৩, ৬-২ ও ৬-৩ সেটে ফাইনাল জিতে নিলেন জোকার। ১৫তম গ্র্যান্ডস্লাম জিতলেন তিনি। সাত নম্বর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। গতবছর উইম্বলডন ও ইউএস ওপেন জিতেছিলেন। পরপর তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতলেন নোভাক। বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জিতে ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন তিনি।
[চোটের জন্য ছিটকে গেলেন প্রতিদ্বন্দ্বী, ইন্দোনেশিয়া মাস্টার্সের চ্যাম্পিয়ন সাইনা]
চোট সারিয়ে নিজের ফর্ম ধরে রেখেছিলেন রাফায়েল নাদাল। অস্ট্রেলিয়া ওপেনে পরপর সাফল্য দেখিয়েছেন। ফাইনালে ওঠার পর নাদাল ভক্তরা স্বপ্ন দেখা শুরু করেন। ২০০৯ সালে শেষবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছিলেন। ১০ বছর পর ফাইনালে ওঠেন তিনি। কিন্তু ফাইনালে প্রতিপক্ষ নোভাক জোকোভিচকে সামলানো নাদালের পক্ষে সহজ হয়নি। এর আগে ২৩ বার মেজর ওপেনের ফাইনালে উঠেছিলেন জোকোভিচ। রড লেভার এরিনা সব সময়ই জোকোভিচের জন্য লাকি। আর সেটাই হল। প্রথমেই ৪-১ পয়েন্টে এগিয়ে শুরু করেন জোকার। প্রথম সেটে জিতে নেন ৬-৩ পয়েন্টে। দ্বিতীয় সেটেও ৩-২ পয়েন্টে লিড নিয়ে নেন জোকোভিচ। কোর্ট মুভমেন্টে জোকোভিচের কাছে এঁটে উঠতে পারেননি নাদাল। সহজেই ৬-২ পয়েন্টে দ্বিতীয় সেটে বাজিমাত করেন জোকোভিচ। তৃতীয় সেটেও সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখাতে পারেননি নাদাল। ৬-৩ পয়েন্ট তুলে গ্র্যান্ড স্লাম ঘরে তোলেন জোকার।
[শচীনের দীর্ঘদিনের রেকর্ড ভাঙল নেপালের এই তরুণ ব্যাটসম্যান]
২০১২ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে প্রায় ৬ ঘণ্টার লড়াই হয় জোকোভিচ ও নাদালের। এবার সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার সামান্য রেশটুকু পাওয়া যায়নি। সহজেই নাদালকে হারান তিনি। ম্যাচের পর নাদাল বলেন, “নোভাক ও ওর টিমকে এই জয়ের জন্য শুভেচ্ছা। শেষ কয়েকবছর আমার খুব কঠিন সময় গিয়েছে। তাই এই দুই সপ্তাহ আমার কাছে খুব আবেগময়। ইউএস ওপেনের পর ভেবেছিলাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ড পর্যন্ত খেলতেই পারব না। তাই রানার্স ট্রফি আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি। আমি লড়াই করছি। এটাই আমার কাছে অনেক। আমার পরিবার ও টিমকে ধন্যবাদ।”
The post লড়াই দিতে পারলেন না নাদাল, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন জোকার appeared first on Sangbad Pratidin.