সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিরের চেয়ে দামি হিমালয়ান ভায়াগ্রা (Himalayan Viagra)। গাড়োয়াল, কুমায়ুন ও হিমাচলের মানুষ এই বিস্ময় ছত্রাককে ডাকেন ‘কিরা জরি’ নামে। নেপালিরা বলেন ‘ইয়ার্সা গুম্বা’। দুর্গম পাহাড়ে সেই বহুমূল্য ঔষধী সংগ্রহে গিয়ে প্রাণ হারালেন নেপালের দারচুলা জেলার ৩ গ্রামবাসী। নিখোঁজ আরও ৫। বিপুল তুষারধসের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। সেনা এবং নেপাল পুলিশ যৌথভাবে নিরুদ্দেশ গ্রামবাসীদের সন্ধানে নেমেছে। যদিও খারাপ আবহাওয়ার কারণে ব্যহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ।
মঙ্গলবার দুপুর ৩টে নাগাদ বিপুল তুষারধস শুরু হয় নেপাল পাহাড় লাগোয়া বিয়ানস গ্রাম। এর পর থেকেই ৬ জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে ৩ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট মরশুমে হিমালয়ান ভায়াগ্রা বা ইয়ার্সা গুম্বা সংগ্রহে বরফ ঢাকা দুর্গম পাহাড় চড়েন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। দুষ্প্রাপ্য প্রজাতির এই ছত্রাক গরম জল, চা, স্যুপ অথবা স্টু-এর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে তা সারিয়ে ফেলতে পারে ক্যানসার থেকে বন্ধ্যাত্ব। এই ছত্রাক যৌবন দীর্ঘস্থায়ী করে, এমনটাই বিশ্বাস অনেকের। সারা পৃথিবীতে এই ছত্রাক পাওয়া যায় শুধু হিমালয়েই। ফলে এর চাহিদাও বিপুল। বেজিং-এ সোনার থেকে তিন গুন বেশি দামে বিক্রি হয় এই ‘ইয়ার্সা গুম্বা’।
[আরও পড়ুন: সার্বিয়ার স্কুলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি সপ্তম শ্রেণির ছাত্রের, মৃত ৮ শিশু-সহ ৯]
এই কারণেই ঝুঁকি নিয়ে ‘ইয়ার্সা গুম্বা’ সংগ্রহে যান স্থানীয়রা। যা মেলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার মিটার উচ্চতায়। যদিও ইদানীংকালে আরও দষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে হিমালয়ান ভায়াগ্রা। পরিবেশগত কারণ ছাড়াও অতিরিক্ত সংগ্রহের কারণেই তা আর আগের মতো মিলছে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।