সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানস সরোবর পর্যন্ত তীর্থযাত্রা আরও সুগম করতে ভারতের তৈরি নয়া সড়ক নিয়ে ক্ষুব্ধ নেপাল। ওই সড়ক দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত বলে আগেই তোপ দেগেছে কাঠমাণ্ডু। এবার পরিস্থিতি আরও জটিল করে ভারত-নেপাল সীমান্তে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার কথা জানালেন নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গিয়াওয়ালি।
[আরও পড়ুন: ১২ মে থেকে ফের চালু ট্রেন পরিষেবা, জেনে নিন কীভাবে কাটবেন টিকিট?]
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে নেপালের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “সীমান্তে এককভাবে ভারত কোনও পদক্ষেপ করবে না বলেই আমরা আশা করছি। এছাড়াও, অতীতে আলোচনার মাধ্যমে স্থায়ী সীমান্ত মেনে চলবে নয়াদিল্লি বলে আমরা মনে করছি। তবে সীমান্তে আমাদের বর্ডার পোস্ট ভারতীয় সেনাবাহিনীর তুলনায় অনেক কম। সীমান্তে আমাদের মাত্র ১২০টি চৌকি রয়েছে। তাই আমরা অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার কথা ভাবছি।” তিনি আর দাবি করেন, নেপালের জমিতে সড়ক তৈরি করে ভারত দু’দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি লঙ্ঘন করছে। ১৮১৬ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও নেপালের তৎকালীন রাজার মধ্যে স্বাক্ষরিত সুগাউলি চুক্তিতে সাফ বলা হয়েছে মহাকালি নদীর পূর্বের অংশ নেপালের। ১৯৮৮ সালের বৈঠকেও ভারত স্থায়ী সীমান্ত মেনে চলতে রাজি হয়েছিল।
উল্লেখ্য, আগে মানস সরোবর যাত্রা সম্পূর্ণ করতে তীর্থযাত্রীদের তিন সপ্তাহ লাগত। কিন্তু নবনির্মিত ৮০ কিলোমিটার রাস্তাটির মাধ্যমে তা শেষ হবে মাত্র এক সপ্তাহেই।সড়কটি উত্তরাখণ্ডের তিব্বত সীমান্ত সংলগ্ন ১৭ হাজার ফুট উঁচু লিপুলেখ পাসকে ধড়চুলার সঙ্গে জুড়েছে। সড়কটি শুরু হয়েছে ঘাতিয়াবাগড়ে। গিয়ে মিশছে কৈলাস মানস সরোবরের গেটওয়ে লিপুলেখে। গত সপ্তাহে ভিডিও কনফারেন্সে পথটি উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তারপরই আপত্তি তলে নেপাল সরকার। তবে পড়শি দেশের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। সড়কটি ভারতীয় জমিতে তৈরি বলে সাফ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। বিশ্লেষকদের মতে নেপাল সরকারের গুরুত্ব বেড়েছে চিন সমর্থিত নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান পুষ্পকমল দহাল ওরফে প্রচণ্ডের। বেজিংয়ের নির্দেশে সেই ভারতের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছে।
[আরও পড়ুন:‘বাদুড় থেকে ছড়াচ্ছে করোনা’, বাঙালি বিজ্ঞানীদের গবেষণায় স্বীকৃতি মার্কিন মেডিক্যাল জার্নালের]
The post সড়ক নির্মাণ নিয়ে তুঙ্গে বিবাদ, ফৌজ মোতায়েন করে ভারতকে ‘হুমকি’ নেপালের appeared first on Sangbad Pratidin.