shono
Advertisement

দেশের প্রতি জেলার ২ পড়ুয়াকে পাঠানো হবে মোদির ছোটবেলার স্কুলে, নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রের

মোদির স্কুলকে নতুন ভাবে গড়ে তুলছে ASI।
Posted: 11:11 AM Jun 07, 2023Updated: 11:11 AM Jun 07, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ডিগ্রির সত্যতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) ‘দেশের শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজন’ বলে ক’দিন আগেও কটাক্ষ করেছেন। এবার সেই মোদির ছোটবেলার স্কুল হয়ে উঠতে চলেছে গোটা দেশের শিশু-কিশোরদের ‘প্রেরণা’। সম্প্রতি এই মর্মে একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ‘প্রেরণা’র অধিনে প্রধানমন্ত্রী গুজরাটের (Gujarat) যে স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন, সেখানে নবীন প্রজন্মকে দেওয়া হবে ‘দেশভক্তি’ এবং ‘নৈতিকতার পাঠ’। এইসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে ঊনিশ শতকের স্কুলটিকে নতুন ভাবে গড়া তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে।

Advertisement

গুজরাটের মেহসনা জেলায় রয়েছে ভাদনগর প্রাথমিক স্কুল। এই স্কুলেই প্রাথমিক পাঠ নিয়েছিলেন মোদি। ভাদনগর প্রাথমিক স্কুলকে কেন্দ্র করেই কেন্দ্রের প্রকল্প ‘প্রেরণা’। যার অধীনে দেশের প্রতিটি জেলার ২ জন পড়ুয়া নৈতিকতার পাঠ নেবে। একাধিক পর্বে চলবে বিশেষ শিক্ষাদান। প্রতি পর্বে ৩০ জন পড়ুয়াকে বেছে নেওয়া হবে শিক্ষামূলক সফরের জন্যে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের ৭৫০টি জেলার দেড় হাজার পড়ুয়াকে ৫০ সপ্তাহের প্রকল্পে ‘প্রেরণা’ দেওয়া হবে। ভাদনগর স্কুলেই শুরু হবে নয়া প্রকল্প।

[আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে ১৯ বছরের তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন! অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুতে ঘনীভূত রহস্য]

ফলে মোদির স্কুলটিকে বিশেষ ভাবে গড়ে তুলতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে। স্কুলটিকে ‘সেন্টার ফর ইন্সপিরেশন’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। সরকারি সূত্রে দাবি, প্রেরণার মূল লক্ষ্য হল পড়ুয়াদের মধ্যে দেশভক্তি এবং নৈতিকতা জাগানো, যাতে তারা ভবিষ্যতে দেশের কল্যাণের জন্য কাজ করে।

[আরও পড়ুন: মেটেনি গোষ্ঠীকোন্দল, রবিবারই নতুন দল ঘোষণা করতে পারেন শচীন পাইলট]

প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগে কেজরিওয়াল টুইট করেন, “চাই না, কোনও ভুয়ো ডিগ্রিধারী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হোন।” মাঝে একই বিষয়ে মোদিকে কটাক্ষ করেন উদ্ধব ঠাকরে। বলেন, “কোন কলেজ চায় না এটা প্রকাশ্যে আসুক, যে দেশের প্রধানমন্ত্রী সেই কলেজে পড়েছেন।” এমনটা বলার কারণ, জাতীয় তথ্য কমিশন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দিলেও তা প্রকাশ্যে আনতে চায়নি তারা। এর অর্থ ‘ডাল মে কালা’র উপস্থিতি, মনে করেন মোদি বিরোধীরা। সেই মোদির স্কুলে দেশের প্রতি জেলার ২ পড়ুয়াকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র, যাতে নবীন প্রজন্মের মধ্যে দেশভক্তি এবং মূল্যবোধ তৈরি হয়।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement