shono
Advertisement

এবার লঞ্চে বসেই জানা যাবে ট্রেন-বাসের সময়, উদ্যোগ পরিবহণ দপ্তরের

ছোটখাটো পর্যটনকেন্দ্রের মতো করে তৈরি হবে ফেরিঘাটগুলি। The post এবার লঞ্চে বসেই জানা যাবে ট্রেন-বাসের সময়, উদ্যোগ পরিবহণ দপ্তরের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 10:08 AM Aug 20, 2018Updated: 11:28 AM Aug 20, 2018

নব্যেন্দু হাজরা: কোন ট্রেন কটায় ছাড়বে, কোন বাস কখন স্টপেজে আসবে! গঙ্গাবক্ষে লঞ্চে বসেই এবার জানতে পারবেন সবকিছু। কোন ভেসেল ক’টার সময় কোন গন্তব্যে যাবে তাও ঘাটে প্রবেশের আগেই জানতে পারবেন যাত্রীরা।

Advertisement

[উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, আগামী ২ দিন রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা]

ট্রেন-বাস এবং ফেরি পরিষেবাকে একসূত্রে বাঁধতেই পরিবহণ দপ্তরের নয়া এই উদ্যোগ। প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাট এবং ভেসেলে লাগানো হচ্ছে ‘প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম’। থাকবে ডিসপ্লে বোর্ড। রেলস্টেশনের মতোই সেখানে প্রতি মুহূর্তে আপডেট হবে তথ্য। এর ফলে ফেরিঘাটে ঢোকার সময় যাত্রীরা জেনে যাবেন কোন ভেসেল ক’টার সময় ছেড়ে কোথায় যাবে। আপাতত ৮০টি গুরুত্বপূর্ণ ঘাটে এই সিস্টেম চালু হচ্ছে। তাছাড়া সরকারি যে ভেসেল রয়েছে, তাতেও এই ডিসপ্লে বোর্ড থাকবে। বিশ্ব ব্যাংকের সাহায্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করবে পরিবহণ দপ্তর। ধরা যাক, শ্রীরামপুর ফেরিঘাটে ঢোকার আগে যাত্রীরা সেই বোর্ডে চোখ রাখলেই দেখতে পাবেন, আপ এবং ডাউন লাইনে পরবর্তী এক ঘণ্টায় কী কী ট্রেন আছে। পাশাপাশি কোন বাস নিকটবর্তী স্টপেজ থেকে কত দূরত্বে রয়েছে, জানান দপ্তরের এক কর্তা।

ইতিমধ্যেই বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় জলপথকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সাজছে গঙ্গার দুই পাড়ও। তারই একটি অঙ্গ এই প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম। যাতে যাত্রীরা লঞ্চে বসেই বুঝে যেতে পারেন, কতক্ষণে তিনি গন্তব্যে পৌঁছাবেন। একই সঙ্গে প্রচুর আধুনিক ভেসেল নামানোরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় ঐতিহাসিক শহরের ফেরিঘাটগুলোকে এবার নতুনভাবে সাজাবে রাজ্য সরকার। চন্দননগর, চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর, বেলুড়, দক্ষিণেশ্বর, বাগবাজারের মতো বেশ কয়েকটি ঘাট চিহ্নিত করা হয়েছে ইতিমধ্যে। যেগুলোকে সেখানকার কৃষ্টি-সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে আলাদাভাবে সাজানো হবে। যাত্রীদের বসার জায়গা থেকে শুরু করে টয়লেট, ক্যাফেটেরিয়া-থাকবে সবকিছুই। কার্যত ছোটখাটো পর্যটনকেন্দ্রের মতো করে তৈরি হবে ফেরিঘাটগুলি।

পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তার কথায়, শুধু গঙ্গা পার সাজবে তেমন নয়, যাত্রীরা যাতে ওই ফেরিঘাট ভ্রমণ করতেও আসেন, সেখানে সময় কাটিয়ে যেতে পারেন, তেমনভাবেই তা সাজানো হবে। একেবারে পর্যটন কেন্দ্রের আদলে। কিন্তু প্রতিটি ছত্রে ফুটে উঠবে সেই শহরের পুরনো হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য। যেমন চন্দননগর। আগে চন্দননগর ফরাসি উপনিবেশ ছিল। সেখানে ফরাসি মিউজিয়াম রয়েছে। তাই সেখানকার মতো করেই ফেরিঘাটকে সাজানো হবে। ধরা যাক ঘাটটি হবে মিউজিয়ামের আদলে। থাকবে বসার জায়গা, টয়লেট, খাবার জায়গা, দোলনা, বাহারি আলো। বিদেশি পর্যটকরা যাতে ঘাটে নেমেই বুঝতে পারেন, তাঁরা চন্দননগরে এসে গিয়েছেন। পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তা জানান, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে এবং জলপথকে আরও সাজাতে এরকমই নানা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

[রাত বাড়তেই ধুপধাপ শব্দ-মহিলার কান্না, ভূতুড়ে হস্টেল ঘিরে চাঞ্চল্য ডুয়ার্সে]

The post এবার লঞ্চে বসেই জানা যাবে ট্রেন-বাসের সময়, উদ্যোগ পরিবহণ দপ্তরের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement