সুব্রত বিশ্বাস: ময়নাগুড়ির দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা। এবার বিমানের ধাঁচে ট্রেনেও বসছে ব্ল্যাক বক্স। এই যন্ত্রের নাম, ‘ক্রু ভয়েস অ্যান্ড ভিডিও সিস্টেম’। দুর্ঘটনা ঘটলে এর মাধ্যমে কারণ জানা সহজ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
জানুয়ারি মাসে ভয়ংকর দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল ময়নাগুড়ি (Maynaguri)। দোমহোনিতে লাইনচ্যুত হয়েছিল বিকানের এক্সপ্রেস (Bikaner Express)। কার গাফিলতিকে এই ঘটনা, তা খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। প্রকাশ্যে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার বিমানের ধাঁচে তৈরি ব্ল্যাক বক্স ট্রেনের ইঞ্জিনে রাখার সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব রেল। জানানো হয়েছে, আপাতত ১৩ টি ট্রেনে বসানো হবে ত্রু ভয়েস অ্যান্ড ভিডিও সিস্টেম। ইতিমধ্যেই আসানসোল ডিভিশনের ৬ টি ইঞ্জিন ও হাওড়া ডিভিশনের একটিতে বসানো হয়েছে এই যন্ত্র।
[আরও পড়ুন: ‘কোচবিহারবাসীর মুক্তির জন্য লড়াই করে যাব’, নিশীথ প্রামাণিকের মন্তব্যে বিতর্ক]
কী কাজ এই ত্রু ভয়েস অ্যান্ড ভিডিও সিস্টেমের? এই বিশেষ যন্ত্রে লোকো পাইলটের সঙ্গে গার্ড, স্টেশন মাস্টার-সহ সকলের কথোপথন রেকর্ড হবে। ভিডিও রেকর্ডিংও হবে প্রতিমুহূর্তের। ফলে কোনও ট্রেন যদি দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয়, সেক্ষেত্রে এই সিস্টেম হাতে পেলেই জানা যাবে ঠিক কী ঘটেছিল দুর্ঘটনার মুহূর্তে। কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি থাকলে তা ও যাবে। ফলে সমস্যা কমবে। জানা গিয়েছে, ধাপে ধাপে লোকাল ট্রেনেও বসানো হবে এই ত্রু ভয়েস অ্যান্ড ভিডিও সিস্টেম। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনা এড়াতে রেলের তরফে কবচ প্রকল্পের আওতায় আরও একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি বিকেল ৫ টা নাগাদ আচমকাই ময়নাগুড়ির (Maynaguri) দোমোহানি এলাকায় লাইনচ্যুত হয় গুয়াহাটিগামী আপ বিকানের এক্সপ্রেস। দুমড়ে-মুচড়ে যায় বেশ কয়েকটি কামরা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রেনটির মোট ১২টি বগি। আটকে পড়েন বহু যাত্রী। মৃত্যু হয় ৯ জনের।