সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাইট ডিউটি চলাকালীন আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল দেশ। তারই মাঝে এবার মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরিতে ধর্ষণের শিকার হলেন বছর কুড়ির এক নার্সিং পড়ুয়া! শরীরে একাধিক নৃশংস আঘাত, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই নার্সিং পড়ুয়াকে। এই ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মহারাষ্ট্র।
জানা যাচ্ছে, রত্নাগিরিতে এক বেসরকারি হাসপাতালে নার্সিং পড়তেন ওই ছাত্রী। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য অটরিকশা ধরেছিলেন তিনি। যাওয়ার পথে গাড়ির চালক তাঁকে জল খাওয়ার প্রস্তাব দেন। সেই জল খাওয়ার পর অসুস্থ বোধ করেন তিনি। তার পর কিছু মনে নেই। এর পর চম্পক ময়দান এলাকায় ক্ষত বিক্ষত ও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া তাকে। চিকিৎসকদের দাবি, ওই নার্সকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।
[আরও পড়ুন: অতিমারীর সময় করোনা সংক্রান্ত পোস্ট সরাতে চাপ! বাইডেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মেটা কর্তা]
এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রত্নাগিরির নার্স ও হাসপাতাল কর্মীরা। অপরাধীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঘটনার প্রতিবাদে ব্যানার হাতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাতে দেখা যায় স্থানীয়দের। একাধিক জায়গায় বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল। গোটা ঘটনায় চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামে পুলিশ। অজ্ঞাতপরিচয় ওই অটো চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। আশ্বাস দেওয়া হয়েছে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে অভিযুক্তকে।
[আরও পড়ুন: ৮ মাসেই ভাঙল মহারাষ্ট্রের শিবাজি মূর্তি! দুর্নীতির অভিযোগে সরব মহুয়া]
উল্লেখ্য, গত ১৩ মহারাষ্ট্রের বদলাপুরের একটি স্কুলে নার্সারির দুই পড়ুয়াকে যৌন নিগ্রহ অভিযোগ ওঠে স্কুলেরই এক সাফাইকর্মী বিরুদ্ধে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তাল হয়ে ওঠে বদলাপুর। অপরাধীর শাস্তির দাবিতে পথে নামেন শয়ে শয়ে জনতা। স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা এলাকা। তাদের সামাল দিতে নাজেহাল হতে হয় পুলিশকে। ঘটনার তিন দিন পর, ১৬ অগস্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অভিভাবকেরা। পরিবারের দাবি, থানায় অভিযোগ জানানোর ১১ ঘণ্টা পর এফআইআর দায়ের হয়েছিল। ওই ঘটনায় ১৭ তারিখেই অভিযু্ক্তকে গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। এরই মাঝে এবার নার্সিং পড়ুয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত মহারাষ্ট্র।