বাবুল হক, মালদহ: ফেসবুকে (Facebook) আলাপ। তারপর প্রেম, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস। এখন আর বিয়েতে রাজি নয় প্রেমিক। এই অভিযোগে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন যুবতী। তাঁর দাবি, বিয়ে প্রেমিককে করতেই হবে।
শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের রানিপুরা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিপুরা গ্রামের এক নাবালকের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ওই যুবতীর। অভিযোগ, তিন বছর ধরে এই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। কিন্তু আচমকা বেঁকে বসে প্রেমিক।
[আরও পড়ুন: গৌরবর্ণা নয়, দুর্গার গায়ের রং রক্তের মতো, কোচবিহারের রাজবাড়ির পুজোর বিশেষত্ব আর কী?]
যুবতীর অভিযোগ, এত দিনের সম্পর্কের পর তাঁকে আর বিয়ে করতে চাইছে না প্রেমিক। তাই বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির পুকুরপাড়ে ধরনায় বসেন যুবতী। যুবতী জানান, বিয়ের কথা বলার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে সমস্তরকমের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রেমিক। তাঁদের প্রেমের বিষয়ে প্রেমিকের বাড়ির লোকজন সবই জানে বলে দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে যুবতীর প্রেমিকের বাবার দাবি তিনি বা তাঁর পরিবার এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তাঁর ছেলে দিল্লিতে পড়াশোনা করছে। নিজের ছেলেকে নাবালক বলেও দাবি করেছেন তিনি। তারপরই জানিয়েছেন, এর আগেও যুবতী বিয়ের দাবি নিয়ে তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন। ছেলের বিরুদ্ধে থানায় নালিশও জানিয়েছিলেন। যার জেরে ছেলেকে কোর্ট থেকে জামিন নিতে হয়। যুবতীর ধরনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। যুবতী ও তাঁর প্রেমিকের বাবাকে থানায় নিয়ে বলে খবর।