সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণধর্ষণের (Gang rape) ২২ বছর পরে ধরা পড়ল প্রধান অভিযুক্ত। ১৯৯৯ সালে গোটা ওড়িশায় (Odisha) চাঞ্চল্য দেখা দেয় ওই গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়ায়, পদত্যাগ করতে বাধ্য হন রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জেবি পট্টনায়েক। শেষ পর্যন্ত দু’জন অভিযুক্ত ধরা পড়লেও অধরাই ছিল প্রধান অভিযুক্ত। অবশেষে মহারাষ্ট্রের লোনাভালা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিবেকানন্দ বিসওয়াল ওরফে বিবানকে।
ঠিক কী ঘটেছিল? ৯ জানুয়ারির মধ্যরাতে একটি গাড়িতে তাঁর সাংবাদিক-বন্ধুর সঙ্গে করে যাচ্ছিলেন নির্যাতিতা। সেই সময়ই তাঁকে অপহরণ করে তিন অভিযুক্ত। তুলে নিয়ে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে ধর্ষণ করে তাঁকে। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাজ্যের সাধারণ মানুষ। তদন্তে নামার পরে পুলিশ শুরুতেই সাফল্য পায়। কয়েকদিনের মধ্যেই, ১৫ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয় অন্যতম অভিযুক্ত প্রদীপ সাহু ওরফে পাড়িয়াকে। কিছুদিন পরে ধরা পড়ে যায় অন্য অভিযুক্ত টুনা মহান্তিও। কিন্তু খোঁজ মেলেনি বিবানের। ২০০২ সালে খুরদা জেলা আদালত দুই অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায়। ইতিমধ্যে তদন্তভার পায় সিবিআই।
[আরও পড়ুন : খদ্দের ভাঙানো নিয়ে লাঠালাঠি, রণক্ষেত্র উত্তরপ্রদেশের বাগপত! ভিডিও ভাইরাল]
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অসুস্থ হয়ে মারা যায় পাড়িয়াও। কিন্তু তখনও বিবান সম্পর্কে কোনও তথ্যই পায়নি সিবিআই। আসলে ঘটনার পরপরই রাজ্য ছেড়ে ফেরার হয়ে গিয়েছিল। মহারাষ্ট্রে চলে এসে সেখানে প্লাম্বারের কাজ শুরু করে সে। অবশেষে তিন মাস আগে ওড়িশা পুলিশ শুরু করে ‘অপারেশন সাইলেন্ট ভাইপার’। তাদের কাছে খবর ছিল জলন্ধর নাম নিয়ে লোনাভালায় আত্মগোপন করে আছে সে। শেষপর্যন্ত মুম্বই পুলিশের সহায়তায় পুলিশের জালে ধরা পড়ল বিবান। তাকে মহারাষ্ট্রে গিয়ে গ্রেপ্তার করেছে ওড়িশার পুলিশ। কটকের কমিশনার এস সারাঙ্গি জানিয়েছেন, এরপর বিবানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে। নির্যাতিতা অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন।