সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূরে বেড়াতে যাওয়ার জন্য অফিস থেকে ছুটি পাচ্ছেন না৷ অথচ মন চাইছে কোথাও বেড়াতে যেতে৷ কিন্তু উইকএন্ডে এক বা দু’দিনের ছুটিতে ভাবছেন কোথায় যাবেন? দূরে কোথাও যেতে আসতেই তো সময় শেষ হয়ে যাবে৷ তাহলে উপায়? চিন্তা কী? তিলোত্তমার বুকেই যদি খোঁজ মেলে বেড়াতে যাওয়ার ঠিকানার৷ তবে মন্দ হয় না, তাই না? আপনার জন্য রইল মন ভাল করার মতো কিছু অন্যরকম ঠিকানার খোঁজ৷ সঙ্গে নানা অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় হবে আপনার৷
[ভাগীরথীর তীরে পর্যটনের নয়া ঠিকানা নেতাজি সুভাষ দ্বীপ]
ভারতীয় জাদুঘর: প্রস্তর যুগে কেমন ছিল সবকিছু? সে যুগের জীবনযাত্রা, পশুপাখিই বা কেমন ছিল? ব্রিটিশ শাসনকালে কেমন ছিল ভারতবর্ষ? ইতিহাসের পাতায় যা পড়ে এসেছেন, তা চাক্ষুস করার সুযোগ মিলতে পারে ভারতীয় জাদুঘরে৷ একদিন কয়েক ঘণ্টার সময় আপনার হাতে থাকলেই দেরি না করে বেড়িয়ে পড়ুন৷ স্বাদ নিন অন্যরকম উইকএন্ডের৷ মঙ্গলবার থেকে রবিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে গেলেই খোলা পাবেন এই জাদুঘর৷
বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়াম: বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এগুলির টান যদি অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা আপনার না থাকে, তাহলেই অবশ্যই আপনার ডেস্টিনেশন হতেই পারে কলকাতার গুরুসদয় রোডের বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজি মিউজিয়াম৷ এছাড়াও মিউজিয়ামে রয়েছে কয়লাখনি, বনসাই ও ক্যাকটাসের বাগান৷ দেখতে পারেন মহাজাগতিক শো৷ মঙ্গলবার থেকে রবিবার এই মিউজিয়ামটি খোলা পাবেন৷
[জলের তলায় সিনেমার নিমোকে দেখতে চান? পাড়ি জমান এই দ্বীপে]
নেহেরু মিউজিয়াম: আপনার পরিবারের খুদে সদস্যর কথা ভেবে যদি বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তবে আপনাকে নেহেরু মিউজিয়ামে যেতেই হবে৷ নানা প্রদেশের বিভিন্ন রকমের পুতুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে এই মিউজিয়ামটি৷ ছোট-বড় নানা মাপের প্রায় ৮৮টি দেশের পুতুল নেহেরু মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করা হয়েছে৷ এক্সাইড মোড়ের কাছে এই মিউজিয়ামটি বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত খোলা পাবেন৷
মৌলানা আবুল কালাম মিউজিয়াম: বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের মৌলানা আবুল কালাম আজাদের বাসভূমিই রূপ নিয়েছে মিউজিয়ামের৷ তাঁর ব্যবহৃত চশমা, ব্যাগ, জামাকাপড়, লাঠি, নানা ধরনের ছবি সংরক্ষিত রয়েছে এখানে৷ রয়েছে ভারতরত্নের রেপ্লিকাও৷ কোনও প্রবেশমূল্য ছাড়াই আপনি ঢুকতে পারবেন এই মিউজিয়ামে৷
[মুক্তির স্বাদ পেতে এবার পুজোয় আপনার গন্তব্য হোক মুক্তেশ্বর]
রাজা রামমোহন রায় মিউজিয়াম: বাংলার সমাজ সংস্কারে রামমোহন রায়ের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই৷ তাঁর স্মৃতিতেই শহরের রাজা রামমোহন সরণিতে গড়ে তোলা হয়েছে একটি মিউজিয়াম৷ ওই মিউজিয়ামে গেলেই দেখা যাবে তাঁর নানা বই, ছবি ও লেখা৷ সপ্তাহের যেকোনও দিনই ঢুঁ মারতে পারেন এই মিউজিয়ামে৷
বোট মিউজিয়াম: নানা ধরনের নৌকায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে বোট মিউজিয়াম৷ ভিআইপি রোডের কাছে আম্বেদকর ভবনেই একমাত্র এই বোট মিউজিয়াম রয়েছে৷ হরপ্পা যুগের নৌকা থেকে আধুনিক যুগের নৌকা দেখা যাবে ওই মিউজিয়ামে৷ বাংলা, কেরল, বাংলাদেশ ও তামিলনাড়ুর নৌকাও রয়েছে ওই মিউজিয়ামে৷ সপ্তাহের পাঁচদিনের মধ্যে যেকোনও দিনই ঘুরে আসতে পারেন এই মিউজিয়াম থেকে৷
[‘ঈশ্বরের হাত’-এর উপর সময় কাটাতে চান? রইল সুলুক সন্ধান]
স্মরণিকা ট্রাম মিউজিয়াম: কলকাতার সঙ্গে ট্রামের সম্পর্ক চিরকালীন৷ এসপ্ল্যানেডের সিটিসি কমপাউন্ডের কাছে গড়ে তোলা হয়েছে স্মরণিকা ট্রাম মিউজিয়াম৷ ট্রামচালকের পোশাক, কন্ডাক্টরের টুরি, টিকিট সবই সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে এখানে৷ ট্রামের গায়ে রবীন্দ্রনাথের লেখা নানা কবিতার লাইনও রয়েছে৷ এছাড়া পুরনো কলকাতার আদলে সাজানো একটি ছোটখাটো কফি শপও রয়েছে৷ বেড়ানোর পাশাপাশি মিলবে গলা ভিজিয়ে নেওয়ার সুযোগও৷
রেল মিউজিয়াম: হাওড়া স্টেশনের কাছেই তৈরি হয়েছে রেল মিউজিয়াম৷ পুরনো দিনের রেল ইঞ্জিন থেকে আধুনিক রাজধানী সবকিছুই দেখছে পাবেন ওই মিউজিয়াম৷ শুক্রবার থেকে বুধবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে একবার সময় বের করে ঘুরে আসতেই পারেন৷
[পাঁচ-ছয় হাজার টাকা পকেটে থাকলেই ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গাগুলি]
পুলিশ মিউজিয়াম: স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় কোন কোন অস্ত্র দিয়ে ব্রিটিশদের সঙ্গে লড়াই করা হত, কোন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বা সেই সময় দেখা যেত বিপ্লবীদের? তা যদি নিজে চোখে দেখতে চান, তবে আপনার গন্তব্য হোক পুলিশ মিউজিয়াম৷ ১১৩, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় রোডের এই মিউজিয়ামটি মঙ্গলবার থেকে রবিবার খোলা পাবেন৷
মাদার ওয়াক্স মিউজিয়াম: বিশ্বকবি থেকে মহানায়ক, বলিউড বাদশা থেকে শাহেনশা প্রত্যেকের অবয়বে সাজানো মাদার ওয়াক্স মিউজিয়াম৷ নিউটাউনের এই মিউজিয়াম আপনার মন ভাল করতে বাধ্য৷ একদিন সময় নিয়ে ঘুরে আসুন ওই মিউজিয়াম থেকে৷ মঙ্গলবার থেকে শনিবারের মধ্যে যেকোনও দিন গেলেই খোলা পাবেন এই মিউজিয়াম৷
The post তিলোত্তমার বুকে ঘোরার অন্যরকম ঠিকানার খোঁজ রইল আপনার জন্য appeared first on Sangbad Pratidin.