shono
Advertisement

কন্যাসন্তান জন্মালে এক টাকাও ফি নেন না! পুণের ডাক্তারবাবুর কথা জানলে অবাক হবেন

১১ বছর ধরে 'বেটি বাঁচাও' আন্দোলনে জোয়ার এনেছেন চিকিৎসক।
Posted: 06:11 PM Nov 07, 2022Updated: 06:12 PM Nov 07, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে দেশে কন্যাভ্রুণ হত্যা অন্যতম বড় সমস্যা, লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। সেখানে কেবল কথার কথা নয়, বাস্তবে ‘বেটি বাঁচাও’ (Beto Banchao) আন্দোলনে নজির সৃষ্টি করেছেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) এক চিকিৎসক। ডাঃ গণেশ রাখের (Dr. Ganesh Rakh) একটি মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে কন্যা সন্তান প্রসবের জন্য একটি পয়সাও নেওয়া হয় না। উলটে হাসপাতালের তরফে কন্যার জন্ম উদযাপন করা হয়। সম্প্রতি ডাঃ গণেশ রাখের উদ্যোগের কথা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। যদিও এক দশক ধরে এই কাজ করে আসছেন তিনি।

Advertisement

ডাঃ গণেশ রাখের হাসপাতালটি রয়েছে পুনের (Pune) হাডাপসার এলাকায়। মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালটিতে রয়েছে প্রসূতি বিভাগ। সেখানে বিনামূল্যে কন্যা সন্তান প্রসব করানো হয়। ডাঃ রাখ জানান, গত ১১ বছরে ধরে এভাবেই বেটি বাঁচাও জন আন্দোলন গড়ে তুলছেন তিনি। তাঁর দাবি, এই সময়ে ২ হাজার ৪০০ নবজাতক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এর জন্য তাঁর হাসপাতাল একটি পয়সাও বিল করেনি কখনও। শুধু তাই নয়, ভ্রূণ হত্যা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা এই হাসপাতালের তরফে।

[আরও পড়ুন: তরুণীকে ধর্ষণ-খুনে ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল দিল্লির আদালত, বেকসুর খালাস সুপ্রিম কোর্টে]

এছাড়াও কন্যা সন্তান জন্ম উদযাপন করা হয় কেক কেটে। মিষ্টি বিতরণ করা হয় হাসপাতালের তরফে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই এই উদযাপন, বলেন চিকিৎসক। তাঁর কথায়, “ছেলে হলে মিষ্টি কেনার বহর লেগে যায়। এমন অনেককে দেখেছি, যাঁরা মেয়ে হলে মুখ দেখতে পর্যন্ত আসেন না। বরং লজ্জায় পড়ে যান। এই কারণেই আমি সচেতনতার প্রচার চালাই। বিনামূল্যে কন্যা সন্তানের প্রসব করাই।”

[আরও পড়ুন: ‘বিয়েতে খরচ নয়, সঞ্চয় করুন সন্তানের জন্য’, গুজরাটে গণবিবাহের অনুষ্ঠানে বার্তা মোদির]

ডাঃ গণেশ রাখে বলেন, “১১ বছর আগে বেটি বাঁচাও আন্দোলন শুরু করি। তাঁরই অংশ হিসেবে হাসপাতাল কন্যা সন্তান প্রসব করায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। কন্যার জন্ম উদযাপন করা হয়।” জানা গিয়েছে, হাসপাতাল থেকে মা ও সন্তানের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করা হয় মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের তরফে। ডাঃ গণেশ রাখ জানান, এই কাজে বহু মানুষ ও সংস্থা তাঁর হাসপাতালকে সাহায্য করে থাকে। ফলে সবটা নির্বিঘ্নেই হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার