সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনলাইনে স্বামী ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে! ভাড়া দিচ্ছেন খোদ স্ত্রী! আজব বিজ্ঞাপনে চমকেছে নেটপাড়া। বিশেষত মহিলারা প্রশ্ন তোলেন, কোনও স্ত্রী কীভাবে তাঁর স্বামীকে ভাড়া দিতে পারেন? কেনই বা ভাড়া দেওয়া? উদ্দেশ্য কী?
সমস্ত ধন্দের সূত্রপাত্র একটি বিজ্ঞাপন ঘিরে। বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল ফেসবুক ও বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে। বিজ্ঞাপনের শিরোনাম ছিল ‘হায়ার মাই হ্যান্ডি হাবি’ (Hire my handy hubby), বাংলা করলে দাঁড়ায়- আমার কর্মঠ স্বামীকে ভাড়া নিন। বোঝাই যাচ্ছে এই বিজ্ঞাপন দিয়েছেন স্ত্রী। এই কারণেই প্রশ্ন ওঠে। পুরোটা না জেনেই অনেকে এমন বিজ্ঞাপনের তীব্র নিন্দা করেন।
[আরও পড়ুন: ২৭ বছরে একদিনও ছুটি নেননি, স্বীকৃতিস্বরূপ দেড় কোটি টাকা ‘উপহার’ পেলেন কর্মী!]
যদিও ইংল্যান্ডের (United Kingdom) বাকিংহ্যামশায়ারের বাসিন্দা তিন সন্তানের মা লরা ইয়ং অন্য কথাই বলতে চেয়েছিলেন। অবশ্যই অর্থ উপার্জনের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন তিনি। যদিও উদ্দেশ্য ছিল আলাদা। আসলে লরার স্বামী জেমস বর্তমানে বেকার, কিন্তু বাস্তবিক কাজের লোক তিনি। অভিনব ইন্টেরিওর ডেকরেশনে সিদ্ধহস্ত। ঘরের টুকিটাকি জিনিস ব্যবহার করে গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় আসবাব তৈরি করতে পারেন। ফেলে দেওয়া জিনিস কাজে লাগিয়ে খাট, রান্নাঘরের আসবাব, ডায়নিং টেবিল পর্যন্ত তৈরি করে ফেলেন। ঘর সাজাতেও ওস্তাদ ভদ্রলোক। ছবি আঁকতে জানেন। দেওয়ালে সুন্দর করে তোলেন তুলির টানে।
[আরও পড়ুন: উদয়পুরের মতো হত্যাকাণ্ড মহারাষ্ট্রেও, মুণ্ডচ্ছেদ চিকিৎসাকর্মীর, দাবি আরএসএসের]
স্বামীর এই গুণকেই বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন লরা। সেই কারণেই এমন বিজ্ঞাপন- ‘হায়ার মাই হ্যান্ডি হাবি’। যদিও সেই বিজ্ঞাপনকে ভুল বোঝে লোকে। লরা বলেন, “ঘর সাজিয়ে গুছিয়ে দিতে আমার স্বামীর জুড়ি মেলা ভার। তাই ভেবেছিলাম, কেন তিনি এই সক্ষমতাকে বাণিজ্যিক ভাবে কাজে লাগাবেন না।” সেই সূত্রেই ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলেন লরা। নাম দেন ‘রেন্ট মাই হ্যান্ডি হাসবেন্ড’। এবং ফেসবুক ও বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেন।
যাঁরা তাঁর বিজ্ঞাপনের ভুল অর্থ করেছেন, তাঁদের উদ্দেশে লরার বার্তা, “যদি কখনও চূড়ান্ত সংকটেও পড়ি, চরম মূল্য দেব আমি, কিন্তু জেমসকে নিয়ে এমন কিছু করব না। যেমনটা ভাবা ফেলেছেন আপনারা।”