shono
Advertisement

Breaking News

২৭ বছর পর, সাঁকরাইলের রাস্তা থেকে উদ্ধার বীরভূমের বৃদ্ধ

খুশিতে আত্মহারা বৃদ্ধের পরিবার।
Posted: 10:08 AM Dec 19, 2022Updated: 03:36 PM Dec 19, 2022

অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ২৭ বছর আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বাবা। অনেক খোঁজাখুঁজি করে পুলিশকে জানিয়েও বাবাকে পাননি ছেলেরা। বাবাকে হারানোর সময় যে ছেলেরা কিশোর ছিল আজ তাঁরা যুবক। বিয়ে থা করে সন্তানাদিও হয়ে গিয়েছে। বাবা আর কোনওদিন ফিরে আসবেন না ধরে নিয়েছিলেন তাঁরা। বেঁচে আছেন কি না মনের কোণে সেই সন্দেহও মাঝে মাঝে উঁকি দিয়েছে পরিবারের সদস্যদের। কিন্তু বাবাকে ফিরে না পাওয়ার সেই হতাশার মধ্যেই আচমকাই হাওড়া সিটি পুলিশের উদ্যোগে ৭৫ বছরের বাবা বিনয় কোনাইকে বীরভূমের মুরারই থানার রাজচন্দ্রপুর গ্রামের বাড়িতে ফিরে পেলেন তাঁর ছেলেরা।

Advertisement

রবিবার সন্ধ্যায় রাজচন্দ্রপুরে গ্রামের বাড়িতে বসে বিনয়বাবুর মেজ ছেলে কার্তিক কোনাই বললেন, ‘‘এত বছর পরে বাবাকে ফিরে পেয়ে আমরা খুশি। এজন্য হাওড়া সিটি পুলিশকে অনেক ধন্যবাদ।’’ তিনি জানান, শুক্রবার রাতে তাঁদের গ্রামের বাড়িতে মুরারই থানার একজন সিভিক পুলিশ এসে মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর বাবার ছবি দেখান। সেই ছবি দেখে তিনি তাঁর বাবাকে শনাক্ত করেন। এরপর মুরারই থানার নির্দেশমতো শনিবার বিকেলে কার্তিকবাবু ও তাঁর মা সাবিত্রীদেবী সাঁকরাইল থানার ধুলাগড় ফাঁড়িতে গিয়ে দেখেন সেখানে বিনয়বাবু বসে রয়েছেন।

[আরও পড়ুন: ‘সব দলে চোর আছে’, দুর্নীতি প্রসঙ্গে ফের বিস্ফোরক মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়]

কিন্তু কীভাবে ২৭ বছর পর বিনয়বাবুকে পাওয়া গেল? হাওড়া সিটি পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে ধুলাগড় ফাঁড়িতে খবর আসে, এক বৃদ্ধ রাস্তায় এলোমেলোভাবে ঘোরাঘুরি করছেন। এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে যা খেতে দিচ্ছেন তা তিনি খাচ্ছেন। এরপরই পুলিশ সেদিন বিকেলে বিনয়বাবুকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তখনই বৃদ্ধ নিজের নাম, বাড়ি, বাবার নাম বলেন। ধুলাগড় ফাঁড়ির পুলিশ তখন বৃদ্ধের ছবি তুলে মুরারই থানায় পাঠায়। সেই ছবি নিয়েই ওই বৃদ্ধের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, বিনয়বাবুর ছেলে কার্তিকবাবু রবিবার জানান, বাড়ি থেকে যখন বেরিয়েছিলেন তখন তাঁর বাবা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। গ্রামের একতলা মাটির বাড়িতে ধান চাষ করেই বিনয়বাবু স্ত্রী ও তিন ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। হঠাৎই একদিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। বর্তমানে তিন ছেলে বিয়ে করে তাঁদের নাতি-নাতনি নিয়ে প্রায় ১৫ জন সদস্য রয়েছেন। ছিলেন না শুধু বিনয়বাবু। রবিবার সকাল থেকে ফের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন তিনি। কিন্তু এই ২৭টা বছর কোথায় কীভাবে কাটিয়েছেন বিনয়বাবু তা রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জানতে পারেনি পুলিশ কিংবা বৃদ্ধের পরিবার। কারণ বাড়ি ফেরার পর থেকেই অসুস্থ বিনয়বাবুর ঘরেই স্যালাইন দিয়ে চলছে চিকিৎসা।

[আরও পড়ুন: Covid-19: ৩ বছরে প্রথমবার গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাশূন্য বাংলা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup মহানগর toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার