সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকালে শিশুদের শিক্ষিকা। তাঁদের ভবিষ্যতের দিশারী। আর রাত হলেই বদলে যায় পেশা। প্রাপ্তবয়স্কদের সিনেমার দুষ্টু-মিষ্টি নায়িকা হয়ে ওঠেন তিনি। আর বিষয়টা জানাজানি হতেই চাকরি গেল তাঁর। সোশায় মিডিয়ায় এই খবর নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন, শিক্ষিকার কোনও ভুলই করেননি। আবার কেউ স্কুলের পাশে দাঁড়িয়ে দোষ চাপাচ্ছেন শিক্ষিকার উপর।

শিক্ষিকার নাম এলেনা মারেগা। বয়স ২৯ বছর। ইটালির এক ক্যাথলিক নার্সারি স্কুলে চাকরি করতেন। শিশুদের ক্লাস নিতেন তিনি। অন্যদিকে রাত হলেই পেশা বদলে যেত এলেনার। অভিযোগ, তিনি ওনলিফ্যানসের মতো প্রাপ্তবয়স্ক ওয়েবসাইটে মডেল হিসেবে কাজ করতেন। নিজের প্রাপ্তবয়স্ক ভিডিও সেখানে বিক্রি করতেন। সেই ভিডিও চোখে পড়ে যায় বেশ কয়েকজনের অভিভাবকের। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন তাঁরা। অভিভাবকদের দাবি ছিল, একজন শিক্ষিকা যে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গড়ার কাজ করছেন তিনি যদি এধরনের পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে শিশুরা কী শিখবে?
এরপরই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় এলেনাকে। যদিও স্কুলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তিনি জানান, মাসিক বেতন মাত্র ১২০০ ইউরো। যা দিয়ে সংসার খরচ চলে না। এ প্রসঙ্গে এলেনা বলেন, "শিশুদের পড়াতে আমি ভালোবাসি। কিন্তু ইন্টারনেটে মডেলিং করে আয় করি অনেক বেশি। মাত্র একমাস আগে ওনলিফ্যানসে কাজ শুরু করেছিলাম। সেটাও মজা করে। তবে সেখান থেকে আয় ভালোই হত।" গোটা বিষয়টি নিয়ে সরকারি হস্তক্ষেপ দাবি করেছে অভিভাবকরা।