সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়ে খুন হয়েছেন! শেষকৃত্যও সম্পূর্ণ করে পরিবার। তাঁকে খুনের দায়ে ৪ জন যুবক জেলও খাটছে। মেয়েকে হারিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু দোষীরা সাজা পেয়েছে এই ধরে নিয়ে তাঁর সন্তানদের নিয়ে বছর দেড়েক কাটিয়েও দেয় পরিবার। কিন্তু ঘটনার ১৮ মাস পর অবাক কাণ্ড! বাড়ি ফিরে এসেছেন দাহ্য করা মেয়ে! চাঞ্চল্যকর কাণ্ডটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌর জেলায়।

ব্যাপারটা কী? ঘটনার সূত্রপাত ২০২৩ সালে শেষের দিকে। হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান মন্দসৌর জেলার বাসিন্দা ললিতা বাই। গান্ধী সাগর পুলিশ থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমে কিছুদিন পর একটি ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ডাকা হয় ললিতার বাড়ির লোককে। তাঁরা মৃতদেহের হাতের ট্যাটু ও পায়ে বাঁধা একটি কালো সুতো দেখে শনাক্ত করেন দেহটি তাঁদের মেয়ে ললিতার। খুনের অভিযোগ জানায় পরিবার। তদন্তে নেমে ইমরান, শাহরুখ, সনু, এজাজ নামে চার যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের জেলেও পাঠানো হয়।
সবকিছু মেনে নিয়ে নতুন করে ললিতার দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতে শুরু করে তাঁর পরিবার। তবে একদিন সকালে অবাক কাণ্ড! ১৮ মাস পর ফিরে আসেন ললিতা। তিনি জানান, পূর্ব পরিচিত শাহরুখের সঙ্গে ভানুপাড়া এলাকায় যান তিনি। সেখানেই অন্য এক শাহরুখের কাছে ৫ লক্ষ টাকায় তাঁকে বিক্রি করে দেন পরিচিত যুবক। এতদিন কোটার একটি এলাকায় ছিলেন তিনি। সম্প্রতি পালানোর সুযোগ পেয়ে বাড়ি ফেরেন ললিতা।
সরকারি খাতায় মৃত ললিতা ফিরে আসার পর তাঁকে থানায় নিয়ে যান পরিবার। মহিলাই যে ললিতা তার প্রমাণে কাগজপত্র দেখায়। সব দেখে শুনে চক্ষু চড়ক গাছ পুলিশের! গান্ধী সাগর পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তরুণা ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, ললিতা পুলিশ স্টেশনে এসেছিলেন। উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। ঘটনায় উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এতবড় ভুল হল কী করে? যে দেহটি ললিতার দেহ অনুমান করে দাহ্য করা হয়েছে, সেটিই বা কার? সব কিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ।