সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক যেন সুকুমার রায়ের ‘খিচুড়ি’। বহু বছর আগে তিনি যে ‘হাঁসজারু’, ‘বকচ্ছপ’ বা ‘টিয়ামুখো গিরগিটি’-র কল্পনা করেছিলেন, তা যেন জ্যান্ত হয়ে নেমে এল পৃথিবীতে। সম্প্রতি এক ‘কাকমুখো গরিলা’-র সন্ধান পেয়েছে ইন্টারনেট। তা নিয়ে সোশ্যাল সাইটে এখন জমে উঠেছে তর্ক-বিতর্ক। সবাই এখন শার্লক হোমস বা ফেলুদা হয়ে রহস্যোদ্ঘাটনে ব্যস্ত।
সোশ্যাল সাইটে যে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে এক অদ্ভুত পশুকে। অবশ্য একে ঠিক পশু না পাখি বলা যাবে, তা নিয়েও দ্বিধা রয়েছে। কারণ এর মুখটি কাকের। কিন্তু দেহটি অদ্ভুত। এটিকে যদি কাক বলে ধরা হয় তবে প্রশ্ন জাগবে তার ডানা কোথায়। আর যদি তর্কের খাতিরে এও ধরে নেওয়া যায় যে সে ডানা গুটিয়ে বসেছিল, তবে তার পা কোথায়? ক্যামেরায় তার পা কোথাও দেখা যায়নি। উলটে তার বসার কায়দা অনেকটা গরিলার মতো। তাই অনেকে মনে করছে এটি গরিলাই। কিন্তু সেখানেও ধন্দ। কারণ যদি এটি গরিলাই হবে, তাহলে তার মুখটি কেন কাকের মতো?
[ আরও পড়ুন: ক্ষত নিয়ে নিজেই ওষুধের দোকানে হাজির সারমেয়! দেখুন হৃদয়স্পর্শী ভিডিও ]
এই নিয়ে এখন সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। টুইটারের যে অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছে, তার নাম LIWJATAN। ভিডিওটি পোস্ট হওয়ার পর এর রহস্য সমাধান করতে গিয়ে ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগাড় নেটিজেনদের। তবে এই ভিডিওর ব্যাখ্যা যে একেবারেই পাওয়া যায়নি, তা নয়। কেলি সুইফট নামে এক পিএইচডি ডিগ্রিধারী গবেষক, যিনি ‘crow death behaviours’ নিয়ে গবেষণা করেছেন, তিনি এর দু’টি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁর মতে, এটি কাক। বেশ বড় এক প্রজাতির কাক। তিনি আরও একই মতামত দিয়েছেন। তা হল, পাখিটি নিজের পা জোড়া খুইয়েছে। তাই সে ডানার উপর ভর করেই সবকিছু অভ্যাস করেছে। কিন্তু শারীরিকভাবে এটা অসম্ভব। কারণ পা না থাকলে কোনও কাক বাঁচতে পারে না।
তাহলে এটি ঠিক কী? কেলি সুইফট বলেছেন, কাকটি এই সময় রোদ পোহাচ্ছিল। এই সময় তারা ডানা ও লেজটি এমনভাবে রাখে যে পা দু’টি অদৃশ্য মনে হয়। একটি নির্দিষ্ট অ্যাঙ্গেল থেকে সেটি বোঝা যায়। কয়েক মুহূর্তের জন্য কোনও পাখি এমন পোজিশন নিতে পারে। ভিডিওটি সেই বিরল সময়ের মধ্যেই তোলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কেলি।
[ আরও পড়ুন: জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চিতা, ভয়ংকর অতিথির সঙ্গে সেলফি তোলার হিড়িক ]
The post কাক না গরিলা? অদ্ভুতদর্শন প্রাণীর রহস্য সমাধানে তৎপর নেটদুনিয়া appeared first on Sangbad Pratidin.