সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূরপাল্লার ট্রেনের সংরক্ষিত কোচে বহিরাগতদের উঠে পড়া ভারতীয় রেলে নৈমিত্তিক ঘটনা। এমন অভিজ্ঞতা অধিকাংশ রেলযাত্রীরই রয়েছে। এর জেরে চুরি-চামারিও নতুন নয়। অধিকাংশ যাত্রী ভাগ্যের দোহাই দিয়ে ঘরে ফিরে যান। যদিও তেমনই এক ঘটনায় কর্তব্য গাফিলতির অভিযোগে রেলকে ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করল জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। ঠিক ঘটেছিল?
ঘটনাটি অমরকন্টক এক্সপ্রেসের, ২০১৭ সালের ৯ মে-র। দিলীপ কুমার চতুর্বেদী পরিবারের সঙ্গে একটি স্লিপার কোচে কাটনি থেকে দুর্গ যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে লাগেজে কমপক্ষে ৯.৩ লক্ষ টাকার সামগ্রী ছিল। এক সময় ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাঁর ব্যাগ উধাও হয়ে গিয়েছে। নিয়ম মতো রেল পুলিশের কাছে একটি এফআইআর দায়ের করেন। যদিও আরপিএফ ওই ব্যাগ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। এর পরই দুর্গ জেলার ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনে মামলা দায়ের করেন তিনি।
কমিশন রেলের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়। যদিও সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হয় রেল। যেখানে জেলা ক্রেতা আদালতের নির্দেশ বাতিল হয়ে যায়। পালটা জাতীয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন রেলযাত্রী দিলীপ। গত সোমবার ওই আদালত নির্দেশ দিয়েছে, চুরির জন্য রেলওয়েই দায়ী এবং রেলকর্মীদের গাফিলতি ছিল। নিজের কর্তব্য পালন করেননি ট্রেনের কামরায় থাকা টিকিট পরীক্ষক। তাঁর গাফিলতিতেই সংরক্ষিত কোচে বহিরাগতরা উঠে পড়েন। এর জেরেই চুরি গিয়েছে ওই দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীর লাগেজ। এর জেরেই রেলকে ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।