সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেতন কেটে নেওয়ার প্রতিবাদ! মগডালে চড়ে আত্মহত্যার হুমকি দিলেন পুলিশ আধিকারিক। তারপর পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলল টানটান উত্তেজনা। অবশেষে বিধায়কের হস্তক্ষেপে গাছ থেকে নামানো সম্ভব হল নাছোড়বান্দা পুলিশ আধিকারিককে। এমনই অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হল হিমাচল প্রদেশের ডালহৌসি।
ঠিক কী হয়েছিল? সোমবার একটি গাছের মগডালে আচমকাই উঠে পড়েন জম্মু ও কাশ্মীরের এক পুলিশ আধিকারিক। ৪৮ বছর বয়সি ওই পুলিশ আধিকারিক শ্যামলাল ১৫ মিটার উচ্চতার একটি গাছে উঠে পড়েন। সেখান থেকেই তিনি হুমকি দিতে থাকেন যদি কেউ গাছে উঠে তাঁকে নামানোর চেষ্টা করে তাহলে তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করবেন। কিন্তু কেন নিজের জীবন শেষ করে দিতে চাইছেন তিনি? এবিষয়েও শ্যামকে বলতে শোনা যায়, কোভিড-১৯-এর পর থেকে তাঁর মাসিক বেতন ১৮ হাজার থেকে কমে চার হাজার হয়ে গিয়েছে। আর এতেই তিনি চরম আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
এদিকে পুলিশ আধিকারিককে এভাবে গাছে উঠে আত্মহত্যার হুমকি দিতে দেখে স্থানীয়দের ভিড় জমে যায়। তাঁরাই খবর দেন গ্রাম প্রধানকে। এরপরেই খবর যায় পুলিশে। দমকল ও পুলিশের একটি দল এসে গাছে চেপে থাকা পুলিশ আধিকারিককে নামানোর চেষ্টা করেন। গাছটির আশেপাশে জাল বিছিয়ে দেওয়া হয়। আনা হয় মই। তবুও ওই পুলিশ আধিকারিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে বিধায়ক রামশ্বর সিংয়ের শরণাপন্ন হয় উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিধায়ক। দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর নাছোড়বান্দা পুলিশ আধিকারিককে গাছ থেকে নামিয়ে আনতে সক্ষম হন তিনি। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন উপস্থিত সকলে।
পরে এই ঘটনা সম্পর্কে জানাতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে ওই বিধায়ক বলেন, “শ্যামলাল নিজের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। কোভিডের পর থেকে তাঁর বেতন ব্যাপক হারে কমে গিয়েছে। এই কারণে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি। আর এই কারণেই আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন।”
এদিকে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিআউজি শিব কুমারের দাবি, “শ্যামলালকে অনেক আগেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।” এদিকে গাছ থেকে নেমে আসার পর শ্যামলালের শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়। পরে বিধায়কের সঙ্গে যেতে দেওয়া হয় তাঁকে। তবে সমাধান হয়নি তাঁর চাকরি থাকা বা না থাকার বিষয়টি। রহস্য ঘনিয়েছে তা নিয়ে।
