সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতটা না সদ্য বাবা হওয়ার খুশি, তারচেয়ে ঢের আনন্দ রেকর্ড গড়ে!
আধার নিয়ে বাড়াবাড়ি এমনই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে হাসপাতালে আধার কর্তৃপক্ষকে নিয়ে হাজির ছিলেন মহারাষ্ট্রের খামগাঁওয়ের এক দম্পতি। যার ফলে মেয়ে সাচির জন্মের পর মাত্র ১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের মধ্যেই আধারে নাম নথিভুক্ত করা সম্ভব হল। দেশের কনিষ্ঠতম আধার গ্রাহক হিসাবে নিজের মেয়ের নাম দেখতে পেয়ে তাই খুশিতে ডগমগ ওই দম্পতি।
[বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগ, নেপথ্যে ষড়যন্ত্র দেখছেন রাহুল গান্ধী]
অবস্থা এমনই যে ইনফেকশনের তোয়াক্কা না করে রেকর্ডধারী সদ্যোজাতকে লেবার রুম থেকে বের করে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে যান গর্বিত বাবা-মা। স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠতেই বন্ধুবান্ধব ও আধার কর্তৃপক্ষকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে যান সাচির বাবা। আধারে নাম নথিভুক্ত করার জন্য সাধারণত হাতের আঙুলের ছাপ, চোখের মণির ছবি তোলা হয়। কিন্তু ছোটদের ক্ষেত্রে শিশুর জন্মের সার্টিফিকেট ও বাবা অথবা মায়ের আধার কার্ড থাকলেই আধার নম্বর পাওয়া সম্ভব। ব্যাংক, আয়কর-সহ বিভিন্ন কাজে আধার নম্বরের সংযুক্তিকরণ নিয়ে কেন্দ্র নানা পদক্ষেপ করেছে। তাই বলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই এত তাড়াতাড়ি তার নাম আধারে নথিভুক্ত করতে হবে এমন কোনও নির্দেশ নেই। জন্মের ২ মিনিটের মধ্যে এভাবে আধার নথিভুক্তকরণের প্রসঙ্গে সাচির বাবার বক্তব্য, “আধারের স্লোগান হল, আমার আধার, আমার পরিচয়। এটা অনুসরণ করার জন্য এবং আমার সন্তানকে দেশের কনিষ্ঠতম আধার নম্বরের অধিকারী করার জন্য এই পরিকল্পনা করেছিলাম।” সেই কারণেই হয়তো মেয়ের জন্মের খবর পেয়ে তার মুখ না দেখেই হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষারত বন্ধু ও আধার কর্তৃপক্ষকে ডাকতে ছুটেছিলেন সাচির বাবা। সদ্যোজাতর স্বাস্থ্য কেমন আছে সেই খোঁজ না নিয়েই দ্রুত বার্থ সার্টিফিকেট তৈরি করার কাজে ব্যস্ত হওয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
[স্কুলের বন্ধুরা একজোট, গ্রামে গ্রামে বাল্যবিবাহ রুখছে নাবালিকারাই]
The post রেকর্ডের নেশা! শিশুর জন্মের দু’মিনিটের মধ্যেই তৈরি আধার কার্ড appeared first on Sangbad Pratidin.