সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থানের (Rajasthan) জয়পুরে বাঁদরের (Monkey) উপদ্রবের কথা সকলেরই জানা। সেই বাঁদর যে পুলিশ ও আদালতকেও ঘোল খাইয়ে ছাড়বে, তা ভাবা কঠিন। বস্তুত আজব অস্বস্তিতে পড়ল জয়পুর পুলিশ। একটি খুনের মামলায় আদালত প্রমাণ চাইলে ভ্যাবাচ্যাকা দশা হল তদন্তকারী আধিকারিকদের। ঘটনাটি কী?
ঘটনা হল, একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরে ফেলে পুলিশ। এবার তাদের আদালতে পেশ করার পালা। সে কাজও করে ফেলেছিল পুলিশকর্মীরা। বিচারকদের সামনে তাদের পেশ করাও হয়। কিন্তু প্রমাণ? প্রমাণ ছাড়া কীভাবে শুনানি হবে? প্রশ্ন তুলতেই আমতা আমতা করে পুলিশ যা জানাল, তাতে বিচারকের মাথায় হাত পড়ল। পুলিশ জানায়, একটি বাঁদর মামলার যাবতীয় প্রমাণ, এমনকী খুনে ব্যবহার করা অস্ত্রটি নিয়েও পালিয়েছে। কিছুতেই তা উদ্ধার করা যায়নি।
[আরও পড়ুন: বার্লিনে মোদিকে দেশাত্মবোধক গান শোনানো শিশুর ভিডিও বিকৃতি! বিতর্কে কুণাল কামরা]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে চন্দওয়াজি থানা এলাকার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ ওঠে। পরিবারের লোকেরা দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনার তদন্তে নামে জয়পুর পুলিশ। দিন পাঁচেক বাদেই চন্দওয়াজির বাসিন্দা দুই অভিযুক্ত রাহুল কান্দেরা ও মোহনলাল কান্দেরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন ছিল সেই মামলারই শুনানি।
যথারীতি আদালতে দুই অপরাধীকে পেশ করে পুলিশ। এরপরেই উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকদের কাছে মামালার তথ্য প্রমাণ চান বিচারক। তখনই থতমত খেতে দেখা যায় তাঁদের। আমতা আমতা করে তাঁরা জানান, সমস্ত প্রমাণ নিয়ে পালিয়েছে একটি বাঁদর। বিচারক-সহ আদালতের সকলে এমন উত্তরে বেজায় অবাক হন। তা কী করে সম্ভব?
[আরও পড়ুন: OMG! যৌনসঙ্গীর কন্ডোম ফুটো করল তরুণী! যৌন হেনস্তার দায়ে ৬ মাস কাটাতে হবে জেলে]
পুলিশের বক্তব্য, আদালতে অপরাধীদের পেশ করতে তথ্য প্রমাণ সঙ্গে আনা হয়েছিল বটে। কিন্তু যে ব্যাগে তা রাখাছিল সেটিকে কিছুক্ষণের জন্য আদালত চত্বরের একটি গাছের তলায় রাখা হয়েছিল। আর তাতেই হয় বিপত্তি। আচমকা ওই ব্যাগ নিয়ে পালায় একটি বাঁদর। ওই ব্যাগে ছিল যাবতীয় নথি। এমনকী যে ছুরি দিয়ে খুন করেছিল অপরাধীরা। তাও রয়েছে ওই ব্যাগে। বাঁদরের পিছনে ধাওয়া করেও উদ্ধার করা যায়নি ব্যাগটিকে।