সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়ংকর ঘটনা! এমনটাও হতে পারে! যুবতীর কাণ্ড দেখে শিউরে উঠেছেন চিড়িয়াখানার রক্ষীরাও। সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসে যুবতী তাঁর শিশুকন্যাকে ফেলে দিলেন ভালুকের খাঁচায়। ঘটনাটি উজবেকিস্তানে (Uzbekistan) ঘটলেও নেট মাধ্যমে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে গায়ে কাঁটা দেওয়া মুহূর্তের ভিডিও। যেখানে দেখা গিয়েছে, ওই যুবতী আচমকাই তাঁর তিন বছরের শিশুকন্যাকে ভালুকের খাঁচায় ফেলে দিচ্ছেন। ১৬ ফুট উঁচু থেকে বিরাট চেহারের একটি ভালুকের সামনে গিয়ে পড়ে শিশুটি। তারপর? শিশুকন্যা কি বাঁচল?
তাসকন্দ চিড়িয়াখানার (Tashkent Zoo) যে ভালুকের খাঁচায় যুবতী ফেলে দেন তাঁর তিন বছরের মেয়েকে, সেই ভালুকটির নাম জুজু। যে খাঁচার সামনে এলে বিরাট চেহারার জুজুকে দেখে ভয়ে আঁতকে ওঠে ছোট থেকে বড়। এদিনও জুজু মেজাজে টহল দিচ্ছিল নিজের খাঁচায়। মাঝেমাঝে মুখ তুলে, ছুড়ির মতো দাঁত বার করে গর্জন করছিল। ভাইরাল ভিডিও (Viral Video) ফুটেজে দেখা গিয়েছে, মেয়েকে নিয়ে ওই যুবতী খাঁচার লোহার রেলিং ধরে ঝুঁকে দেখছেন। এরপর আচমকাই দুই পা ধরে তুলে মেয়েকে খাঁচার মধ্যে ফেলে দিলেন। ভিডিওতে আরও দেখা গিয়েছে, পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নিরাপত্তারক্ষী মহিলাকে নিরস্ত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু পারলেন না। তার আগেই যা ঘটনোর ঘটিয়ে ফেললেন যুবতী।
[আরও পড়ুন: মৃতদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, সেলফি, তোরাজা জাতির আশ্চর্য উৎসবের কথা জানেন?]
বছর তিনেকের শিশুটি ১৬ ফুট নিচে ভালুক জুজুর সামনে গিয়ে পড়লেও উলটে জুজুই খানিক ঘাবড়ে যায়। শিশুটি আতঙ্কে চিৎকার করে উঠতে সে তাকে ছেড়ে দেয়। এরপর ওই খাঁচার রক্ষীরা দ্রুত জুজুকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। ভয়ংকর দুর্ঘটনার পর কেমন আছে শিশুটি? জানা গিয়েছে, অবধারিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেলেও তার মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার। অন্যদিক গ্রেপ্তার করা হয়েছে অদ্ভূত কাণ্ড ঘটানো যুবতীকে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ থেকে নেটিজেন সকলের এখন একটাই প্রশ্ন, মেয়ের সঙ্গে কেন এমন করল মা?
[আরও পড়ুন: চিড়িয়াখানার রক্ষীকে মেরে সঙ্গী সিংহকে নিয়ে চম্পট সিংহীর, আতঙ্ক শহরজুড়ে]
পুলিশের কাছে এখনও স্পষ্ট নয় বিষয়টি। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে সে যে কারণেই হোক, মা ও সন্তানের সম্পর্ক, যাকে এ পৃথিবীর একমাত্র সত্যি সম্পর্ক বলে মনে করা হয়, তাকে মিথ্যে প্রমাণ করে ছাড়লেন উজবেকিস্তানের ওই যুবতী।