সম্যক খান, মেদিনীপুর: অভিনব কায়দায় চুরির (Theft) ঘটনা ঘটল মেদিনীপুর শহরে। চুরি করতে এসে চোরের দল সোনাদানা, টাকাপয়সা তো নিলই। পাশাপাশি নিয়ে ভুষিমাল সামগ্রীও সাফ করে দিল। বিশেষত রান্নাঘরের কৌটোর মধ্যে রাখা প্রায় ২০০ গ্রাম পোস্তর লোভও সামলাতে পারল না। তাও নিয়ে গেল চোর! এখানেই তাদের লুটপাট শেষ হয়নি। ফ্রিজ খুলে খেয়েছে মিষ্টি, চকোলেট। আর সেসব ছড়িয়ে রেখে গেল ঘরের এদিক ওদিক। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে ইচ্ছেমতো বাড়িটিকে ব্যবহার করেছে তারা। মেদিনীপুর (West Midnapore) শহরের তোড়াপাড়া সুকুমার সেনগুপ্ত পল্লির এই ঘটনায় মাথায় হাত পরিবারের। চোরের কীর্তিতে হতবাকও তাঁরা।
সুকুমার সেনগুপ্ত পল্লিতেই বাড়ি নীলকমল অট্ট ও প্রণতি অট্টর। তাঁরা গত চারদিন ধরে বাড়ি ছিলেন না। সেই সুযোগেই চোরের দল এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। বাড়ির গৃহকর্ত্রী প্রণতিদেবী বলেন, গত বৃহষ্পতিবার বিকেল থেকে তাঁরা বাড়িতে ছিলেন না, ভাইপোর বিয়েতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ছিল তালাবন্ধ। রবিবার সকাল নটা নাগাদ ফিরে তাঁরা দেখেন, গ্রিল কাটা ও বাড়িতে ঢোকার প্রধান দরজা খোলা। অন্যান্য ঘরের তালাগুলিকেও কেটে ফেলা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে আলমারির তালাচাবিও। উধাও গয়নাগাটি, টাকাপয়সা।
[আরও পড়ুন: তুষারপাতে আটকে পড়া অন্তঃসত্ত্বাকে উদ্ধার করলেন জওয়ানরা, ভিডিও দেখে কুর্নিশ নেটদুনিয়ার]
প্রণতিদেবী জানান, প্রায় আট লক্ষ টাকার সোনার গয়না, ১৫ ভরি রুপো, নগদ প্রায় ৪০ হাজার টাকা খোয়া গিয়েছে। এর পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের হাত পড়েছে রান্নাঘরেও। সরষের তেল, পোস্ত, বাদাম উধাও। ফ্রিজ থেকে তারা মিষ্টি এবং চকলেট বের করে খেয়েছে এবং ছড়িয়েছে। তার চিহ্নও আছে। নিজের বাড়ি ওই অবস্থায় দেখে অট্ট পরিবার খবর দেয় পুলিশকে। কোতয়ালি থানা থেকে পুলিশ গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত শুরু করে।
[আরও পড়ুন: আসরে নেই পাত্রই! সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতাতে যোগীরাজ্যে শয়ে শয়ে ভুয়ো গণবিবাহ!]
প্রণতিদেবী বলেছেন, গয়নাগাটি থেকে শুরু করে খোয়া যাওয়া জিনিসপত্র যাতে উদ্ধার করা হয়, সেজন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এলাকাবাসীরও অভিযোগ, ইদানিং ওই এলাকায় চোরেদের উপদ্রব খুব বেড়েছে। প্রাইভেট গাড়ি, মোটর বাইক থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে ব্যাটারিও। এলাকায় পুলিশি টহলদারির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তবে অট্ট বাড়িতে যেভাবে চুরি হল, তাতে তাঁরা সকলেই হতবাক।