সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারস ও মানুষের বন্ধুত্ব। না, কোনও ঈশপের গল্প কিংবা রূপকথা নয়। বাস্তবেই উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) দেখা গিয়েছে এমন এক বন্ধুতার দৃশ্য। ৩০ বছরের মহম্মদ আরিফ ও এক বিরল প্রজাতির সারসের মধ্যে তৈরি হওয়া সম্পর্ক যেন এক সত্য়িকারের রূপকথা। কিন্তু সেই রূপকথার শেষটা বড়ই বিষণ্ণ। কেননা আরিফের কাছ থেকে পাখিটিকে নিয়ে গিয়েছে বন দপ্তর। স্বাভাবিক ভাবেই মনখারাপ পেশায় কৃষক আরিফের।
গত বছরই খেত থেকে আহত সারসটিকে (Sarus Crane) উদ্ধার করেছিলেন আরিফ। তারপর পাখিটিকে শুশ্রূষা করে সুস্থ করে তোলেন তিনি। সেই শুরু এক অভাবনীয় বন্ধুত্বের। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক ভিডিও। গোটা দেশ মুগ্ধ হয় মানুষ ও না-মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া বন্ধুত্ব দেখে। কিন্তু গত মঙ্গলবার সারসটিকে নিয়ে গিয়েছে বন দপ্তর। আর এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সমসপুর পাখি অভয়ারণ্যের এক আধিকারিক রূপেশ শ্রীবাস্তব বলছেন, ”আমরা ওকে বন্দি করে রাখিনি। ও নিজেই জঙ্গলে উড়ে নিজের খাবার সংগ্রহ করে নিচ্ছে। তবে আমরা আলাদা করে গম, রুটি, জলও দিচ্ছি।”
[আরও পড়ুন: আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের দেওয়া সার্টিফিকেটকে মান্যতা আদালতের, সর্বত্র গ্রহণ করার নির্দেশ]
এদিকে আরিফের প্রশ্ন, ”আমি জঙ্গলের আইন জানি না। আমি একজন কৃষক। কিন্তু আমি তো পাখিটাকে খাঁচাবন্দি করে রাখিনি কিংবা বেঁধেও রাখিনি। এমনও নয় ওকে কোথাও যেতে দিতাম না। যদি এসব করতাম তাহলে না হয় বন দপ্তরের ওকে আমার কাছ থেকে নিয়ে যাওয়ার অর্থ বুঝতাম। আপনারা তো দেখেছেন, উড়িয়ে দিলেও ও আমার কাছেই ফিরে আসত।” যেদিন অভয়ারণ্যে নিয়ে যাওয়া হয় সারসটিকে, সেদিন গাড়ির পিছন পিছন দৌড়েছিলেন আরিফ। এখন তাঁর মনে একটাই চিন্তা। সারসটি ঠিক আছে তো?
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরাও টুইট করেছেন আরিফকে নিয়ে। তাঁদের ‘শোলে’ ছবির জয়-বীরুর সঙ্গে তুলনা করেছেন আরিফ ও তাঁর না-মানুষ সঙ্গীর। শেয়ার করেছেন একটি ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে আরিফের পাত থেকে খাবার খুঁটে খাচ্ছে তার বন্ধু।