সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে দার্শনিক ভাবনা থেকে ‘জীবন্মৃত’ শব্দটির উৎপত্তি তার সঙ্গে এই ঘটনার সম্পর্ক নেই আবার আছে। মৃতবৎ জীবনকে বলা হয় ‘জীবন্মৃত’। আগ্রার (Agra) বাসিন্দা ৭০ বছরের প্রবীণ দিনানাথ যাদব শারীরিকভাবে সুস্থ হয়েও মৃত! পরিস্থিতির চাপে গলায় ‘ম্যায় জিন্দা হু’ অর্থাৎ ‘আমি বেঁচে আছি’ প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ঘুরছেন। এই অবস্থা কেন হল?
সরকারি আধিকারিকদের অনুগ্রহে! এমনটাই দাবি দিনানাথের। রবিবার সকালে আগ্রার জেলাশাসকের দপ্তরে গলায় ‘আমি বেঁচে আছি’ প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেখানে জানান, কয়েকজন সরকারি কর্মীর ষড়যন্ত্রে গত মার্চ মাস থেকে সরকারি খাতায় তিনি মৃত। এই সংক্রান্ত তথ্য জমা দেন জেলাশাসকের কাছে। স্বভাবতই এমন ঘটনায় বেজায় অবাক হন জেলাশাসক। তিনি এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সিডিও কর্মীদের জবাবদিহি তলব করেছেন।
[আরও পড়ুন: প্রেমের প্রস্তাবে ‘না’, রাগে তরুণীকে কুপিয়ে মেরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী যুবক!]
দিনানাথ অভিযোগ করেন, তিনি শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। খেতে নিয়মিত চাষের কাজ করেন। গত দুবছর ধরে সরকারি বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছিলেন। আচমকা গত মার্চ মাসে তা বন্ধ হয়ে যায়। গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিবের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তর দেননি। এর পরেই দেখেন, সিডিও অফিসের কাগজে তাঁকে মৃত বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশে লিলুয়ার আবাসন ভাঙা শুরু হতেই বিপত্তি, চাঙড় খসে পড়ায় আতঙ্কে স্থানীয়রা]
সংবাদমাধ্যমকে দিনানাথ জানান, জেলাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন, পারেননি। তাই এদিন ‘আমি বেঁচে আছি’ প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে সরাসরি দপ্তরে হন। যার পর জেলাশাসক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বিডিও অনিরুধ সিং। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে বলেন, “আমি ছুটিতে আছি। এই বিষয়ে কিছু জানি না।” সত্তরোর্ধ্ব ‘যুবক’ দিনানাথ অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, আমি বেঁচে উঠবই, পেনশনও পাবো আগের মতো।