সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোষ তুমি কার? প্রশ্ন ওঠে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রতাপগড়ের রাই আসকারানপুর গ্রামে। সহজে উত্তর মিলছিল না কঠিন প্রশ্নের। সমাধানে নামে পুলিশ।যদিও থানায় স্থানীয় পঞ্চায়েত বসিয়েও বিবাদ মিটছিল না। শেষ পর্যন্ত অবলা পশুই খুঁজে নিল তার মালিককে। কীভাবে?
মহেশগঞ্জ থানার রাই আসকারানপুর গ্রামের বাসিন্দা নন্দলাল সুরজ। কিছুদিন আগে তাঁর গোয়াল থেকে একটি মোষ নিখোঁজ হয়। নন্দলালের অভিযোগ, ক'দিন পরে মোষটিরে দেখা মেলে প্রতিবেশী গ্রাম পুরে হরিকেশে। ওই গ্রামের বাসিন্দা হনুমান সরোজ আটকে রেখেছিল তার পোষ্যকে। নন্দলাল আরও দাবি করেন, টানা তিন দিন 'গরুখোঁজা'র পরে মোষের দেখা পান। যদিও হনুমান মোষ ফিরিয়ে দিতে রাজি হননি। উলটে সেটিকে নিজের মোষ বলে দাবি করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: মোদির রুশ সফরের আগে সেনার হাতে ৩৫ হাজার AK-২০৩ রাইফেল]
স্থানীয় থানায় হনুমানের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নন্দলাল। বৃহস্পতিবার দুপক্ষকে থানায় ডাকা হয়। মোষ কার? এই প্রশ্নের সমাধানে পঞ্চায়েত বসে কোতোয়ালিতেই। যদিও ঘণ্টার পর ঘণ্টা তর্ক-বিতর্কের পরেও মোষের মালিক কে? প্রশ্নের সমাধান হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত মাথায় বুদ্ধি খেলে মহেশগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিক শ্রাবণ কুমার সিংয়ের। নাটকীয় ঢঙে তিনি দুপক্ষকে জানান, মহিষটিই তার মালিককে খুঁজে নেবে। কীভাবে?
[আরও পড়ুন: পাহাড়ি যুদ্ধে জব্দ হবে লালফৌজ! চিনের চিন্তা বাড়িয়ে ভারতের হাতে ‘জোরাওয়ার’]
পুলিশ আধিকারিক নির্দেশ দেন, এখনই থানা থেকে বেরিয়ে পড়বেন নন্দলাল এবং হনুমান। বিপরীতমুখী পথে নিজের নিজের গ্রামের দিকে হাঁটা দেবেন তাঁরা। মোষটিকেও ছেড়ে দেওয়া হবে, সে যাঁর পিছন নেবে, তাঁকেই পোষ্যের মালিক বলে ঘোষণা করা হবে। বাস্তবে তাই করা হয়। তখন দেখা যায় হনুমানের নয়, নন্দলাল সুরোজের পিছু নিয়েছে মোষটি। শেষ পর্যন্ত আসকারানপুরের নন্দলালের গোয়ালও নিজেই চিনে নেয় অবলা প্রাণীটি। এইসঙ্গে সব বিতর্কের সমাধান হয়।