সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লক্ষ বা কোটি টাকা ঘুষ চেয়ে বিপাকে পড়ে লোকে, সেখানে তিনি চেয়েছিলেন মোটে পাঁচ কিলো 'আলু'। আর তাতেই বড়সড় কেস খেয়ে বসলেন উত্তরপ্রদেশের এক পুলিশকর্মী। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে। উপরি হিসেবে 'আলু' নেওয়ার দোষে জীবনে এত বড় বিপর্যয় নামবে ভাবতে পারেননি তিনি। মাথায় হাত পড়েছে যোগীরাজ্যের ওই পুলিশকর্মীর।
এই ঘটনা কনৌজের সৌরিখ থানার। অভিযুক্ত ওই থানার চাপুন্না-ভাওয়ালপুর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত সাব ইনস্পেক্টর। এক মিনিট চার সেকেন্ডের ওই রেকর্ডিংয়ে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে ঘুষ হিসেবে পাঁচ কিলো 'আলু' চাইতে শোনা গিয়েছে। ফোনের ওপারে যিনি রয়েছেন তিনি জানান, দু’কিলো 'আলু' দিলেও বাকি তিন কিলো এখনই দিতে পারছেন না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিন কিলো 'আলু' দেওয়ার জন্য চাপ দেন ওই পুলিশকর্মী। কিছুক্ষণ বচসার পর শেষমেশ তিন কিলো 'আলু'তে রফা হয়।
[আরও পড়ুন: অগ্নিকাণ্ড? আতঙ্কে হাওড়া-অমৃতসর মেল থেকে লাফ যাত্রীদের, আহত বহু]
পুলিশকর্মী এবং জনৈক ব্যক্তির কথোপকথনের এই রেকর্ডিং সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এক মিনিট চার সেকেন্ডের অডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনা এবং মজা-মশকরা শুরু হয়। অন্যদিকে নড়চড়ে বসেছে যোগীরাজ্যের পুলিশ বিভাগ। বরখাস্ত করা হয়েছে ঘুষ চাওয়া সাব ইন্সপেক্টরকে। লঘু পাপে গুরু দণ্ড হয়ে গেল নাকি? না, কারণ অনেকেই বলছেন, পাঁচ কেজি 'আলু' মানে আলু নাও হতে পারে। আদতে পাঁচ লক্ষ কী কোটি টাকাই চেয়েছিলেন অভিযুক্ত। অর্থাৎ 'আলু' ছিল গুপ্ত সংকেত। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে।