সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে মনে হয়েছিল কোনও গ্রহাণু (Asteroid)। কিন্তু পরে দেখা গেল, কোনও মহাজাগতিক প্রস্তরখণ্ড নয়, ওই রহস্যময় বস্তুটি এই পৃথিবীরই এক নিখোঁজ হয়ে যাওয়া রকেট (Rocket)। আজ থেকে ৫৪ বছর আগে এক ব্যর্থ চন্দ্রাভিযানের সময় সেটি হারিয়ে গিয়েছিল। এতদিন পরে তা আবারও ফিরছে পৃথিবীর দিকে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার (NASA) এক গ্রহাণু বিশেষজ্ঞ এমনটাই জানিয়েছেন। পল চোডাস নামের সেই বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, তিনি রকেটটি আবিষ্কার করে রীতিমতো উত্তেজিত। ১৯৬৬ সালে সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল নাসার ‘সার্ভেয়ার ২’ ল্যান্ডারটি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চাঁদের বুকেই ভেঙে পড়ে সেটি।
সেই সময় ওই রকেটটি কিন্তু চন্দ্রপৃষ্ঠে আছড়ে পড়েনি। সেটি চাঁদের কক্ষপথে পাক খেয়ে পরে সূর্যকে পাক খেতে থাকে। সেটিকে আর দেখা যায়নি। এতগুলি দশক পেরিয়ে আবারও দৃশ্যমান হল সেই রকেট। গত মাসেই হাওয়াইয়ের এক মহাকাশপ্রেমীর টেলিস্কোপে ধরা পড়েছিল রহস্যময় বস্তুটি। দেখা গিয়েছিল সেটি পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে। অবশেষে এতদিনে হল রহস্যভেদ।
[আরও পড়ুন: পৃথিবীর খুব কাছে মঙ্গল! রাতের আকাশে খালি চোখেই দেখা যাবে লালগ্রহকে]
যত কাছাকাছি এগিয়ে আসবে রকেটটি, তত তার সম্পর্কে আরও খুঁটিনাটি নজর করা সম্ভব হবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পক্ষে। বিশেষ করে তার কক্ষপথে সূর্যের আলোর তেজস্ক্রিয়তা ও তাপ কতটা প্রভাব ফেলছে তা বোঝা যাবে। স্বাভাবিক ভাবেই এই রকেটের চলন সাধারণ কোনও গ্রহাণুর থেকে অনেক আলাদা হবে। কারণ এটির শরীর ফাঁপা ও বিরাট ক্যানের মতো। কিন্তু গ্রহাণু যেহেতু নিরেট পাথর, তাই তার চলন অনেকটাই আলাদা।
মনে করা হচ্ছে, রকেটটি নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করে ‘খুদে চাঁদ’ হয়ে প্রদক্ষিণ করবে চার মাস। মার্চের পরে আবারও সেটি পৃথিবী ছেড়ে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে শুরু করবে। পৃথিবীর বুকে সেটির আছড়ে পড়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন পল চোডাস। তিনি জানিয়েছেন, অন্তত এবারে তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই।