সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’বছর অতিক্রান্ত। তা সত্ত্বেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও দাপট দেখিয়ে চলেছে করোনা ভাইরাস। তবে আগের তুলনায় এর চোখ রাঙানি অনেকটাই কমেছে। বর্তমানে কোভিড আক্রান্তদের হাসপাতালে ভরতি হওয়ার হার যেমন কম, তেমনই ভাইরাসকে (Corona Virus) পরাস্ত করে দ্রুত সুস্থও হয়ে উঠেছেন বেশিরভাগ মানুষ। আর এবার একটি নয়া গবেষণায় দাবি করা হচ্ছে, বুস্টার ডোজের তুলনায় ওমিক্রন সংক্রমণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে বেশি সক্রিয়।
সংক্রমণ ঠেকাতে দুনিয়ার নানা দেশের মতো এ দেশেও করোনা ভ্যাকসিনের (Corona Vaccine) বুস্টার ডোজে জোর দেওয়া হচ্ছে। ষাটোর্ধ্বদের পর ১৮ উর্ধ্বদের বুস্টার ডোজের প্রক্রিয়াও চলছে পুরোদমে। কিন্তু নয়া গবেষণা রীতিমতো তাক লাগানোর মতো। সেখানে বলা হচ্ছে, যাঁরা করোনা টিকা নেওয়ার পর ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের শরীরে বেশি পরিমাণে অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হচ্ছে। এই অ্য়ান্টিবডিই কোভিডের নানাপ্রকার ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম।
[আরও পড়ুন: আর্থিক কারণে চিন্তিত ছিলেন পল্লবী, দাবি প্রেমিক সাগ্নিকের, বয়ান যাচাই পুলিশের]
ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক বায়োটেক SE ও ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এই গবেষণার তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রফেসর এই গবেষণার ব্যাখ্যায় বলেন, করোনা সংক্রমণ কার্যত একটি ডোজের সমান। তাই সম্প্রতি কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকলে তাঁকে বুস্টার ডোজের জন্য অপেক্ষা করারই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কারণ সংক্রমণ শরীরে থাবা বসালে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।
গবেষকরা মনে করছেন, যে সমস্ত বুস্টার শট ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্ষম, সেই ডোজ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে যাঁরা এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন নেননি, তাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে কিন্তু একই ফল মিলছে না। যতদিন যাচ্ছে, ততই মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট। সেই কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে টিকা নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।