নন্দন দত্ত, সিউড়ি: সিউড়ির ‘স্টোনম্যান’ এখনও অধরা। তবে তাঁর সঙ্গী ইমরানকে গ্রেপ্তার করল সিউড়ি থানার পুলিশ। রবিবার ধৃত ইমরানকে সিউড়ি আদালতে তোলা হয়। সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ সূত্রে খবর, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করায় অভিযুক্ত স্টোনম্যানের সন্ধানে সিউড়ি থানার একটি দল রাতেই কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। কারণ অভিযুক্তের শেষ ফোনের টাওয়ার পাওয়া গিয়েছিল হাওড়া স্টেশনে। তারপর থেকেই তাঁর ফোনের সুইচ বন্ধ।
শুক্রবার রাত্রে সিউড়িতে প্রকাশ্য রাজপথে ভারী পাথর দিয়ে স্টোনম্যানের কায়দায় শেখ কুতুবউদ্দিন নামে এক যুবককে খুন করা হয়। দশবার তাঁর মাথা ভারী পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়। পুলিশের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই ভিডিও দেখে আঁতকে ওঠে শহরবাসী। আবার চিহ্নিত হয়ে যাওয়ায় অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় বলেও দাবি সূত্রের। কুতুবুদ্দিনের দাদা সাঁইথিয়ার বসিরুদ্দিন খুনের অভিযোগ দায়ের করেন সিউড়ি থানায়।
[আরও পড়ুন: নিখোঁজ ছেলেকে উদ্ধারে সাহায্য BJP বিধায়কের, ‘কৃতজ্ঞতা’য় দলবদল TMC পঞ্চায়েত সদস্যের]
ছবিতে দেখা যায়, শুক্রবার রাত আড়াইটা নাগাদ একটি দামি বাইকে চেপে লাল ও খয়েরি জামা পড়া দুই যুবক রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসা কুতুবউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। শেষে তাঁকে দুজনে মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এর পরে লাল জামা পরা যুবকটি বাইক নিয়ে বেরিয়ে যায়।
পুলিশের দাবি, বাইকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া যুবকটিই ইমরান। তাঁর বাড়ি সিউড়ির চুরি পাড়ায়। পুলিশ আসানসোল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। যদিও ইমরানকে থেকে সিউড়ি রেল স্টেশনের পাশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আদালতে জানায় সিউড়ি থানার পুলিশ। অন্যদিকে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা খয়েরি জামা পড়া মূল অভিযুক্তকে এখনও ধরতে পারেনি জেলা পুলিশ। তবে তাঁর সন্ধানে বেশ কয়েকটি দল গঠন করে জেলা ও জেলার বাইরে তল্লাশিতে পাঠানো হয়েছে।