ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দলে শৃঙ্খলা আনতে এবং সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে আগেই ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নিয়ম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই অনুযায়ীই রাজ্য তৃণমূলে বড়সড় রদবদল। পদ থেকে সরলেন একাধিক মন্ত্রী, সাংসদরা। দায়িত্ব পেলেন বহু নতুন মুখ।
উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূলের জেলা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। একুশের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর বনদপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। একইভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রামের সভাপতি বদল করা হয়েছে। পদ থেকে সরানো হল সৌমেন মহাপাত্র, স্বপন দেবনাথ, পুলক রায়, অরূপ রায়, দিলীপ যাদব, বেচারাম মান্না, মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra), পার্থপ্রতিম রায় (কোচবিহার), অখিল গিরি (Akhil Giri), মৌসম নূরকে। একাধিক মন্ত্রী-সাংসদকে সরানোর পাশাপাশি দায়িত্ব পেয়েছেন প্রচুর নতুন মুখ। ভোটে (West Bengal Assembly Elections) ভাল ফল করার পুরস্কারও পেয়েছেন অনেকেই। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের কংগ্রেসের সভাপতি হলেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। দক্ষিণ দিনাজপুরের সভাপতির দায়িত্ব পেলেন উজ্জল বসাক।
[আরও পড়ুন: সাতসকালে পার্ক সার্কাসে দু্র্ঘটনা, পুরসভার আবর্জনার গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু যুবকের]
শুধু রদবদল নয়, কাজের সুবিধার্থে ভাগ করা হয়েছে জেলাগুলিকে। মুর্শিদাবাদকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। জঙ্গিপুরের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন কানাইচন্দ্র মণ্ডল। বহরমপুর-মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে আবু তাহের খান। নদিয়া জেলাও ভাঙা হয়েছে ২ ভাগে। নদিয়া উত্তরের নতুন সভাপতি (কৃষ্ণনগর) নাসিরুদ্দিন আহমেদ। নদিয়া দক্ষিণের (রানাঘাট) সভাপতির দায়িত্ব পেলেন প্রমথরঞ্জন বোস। চারভাগে ভাগ করা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনাকে। ভাগ করা হয়েছে হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনাকেও।