সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক দেশ-এক ভোট, এক দেশ-এক দেওয়ানি বিধি, এক দেশ-এক স্বাস্থ্যবিমা, এক দেশ-এক করকাঠামো, এক দেশ-এক পরিচয়পত্র। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিন অর্থাৎ জাতীয় একতা দিবসে গুজরাটে স্ট্যাচু অফ ইউনিটির সামনে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আগামী দিনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে এই সবগুলিই জরুরি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় একতা দিবসের মঞ্চে মোদি বলেন, "আমরা এখন এক দেশ-এক নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছি। এটা আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে। এর ফলে উন্নত ভারতের স্বপ্ন নতুন করে গতি পাবে।" স্ট্যাচু অফ ইউনিটিকে সাক্ষী রেখে প্রধানমন্ত্রীর দৃপ্ত ঘোষণা, "আগামী দিনে এক দেশ এক দেওয়ানি বিধির দিকেও এগোচ্ছে দেশ। আর সেটা হবে ধর্মনিরপেক্ষ দেওয়ানি বিধি।"
ওই মঞ্চ থেকেই প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল করে ইতিমধ্যেই গোটা দেশকে একই সংবিধানের আওতায় আনতে পেরেছে তাঁর সরকার। জিএসটি চালু করে এক দেশ-এক করকাঠামো চালু করা সম্ভব হয়েছে। এক দিন আগেই দুই রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মোদি। এদিন ফের তাঁর মুখে শোনা গেল এক দেশ-এক স্বাস্থ্যবিমার প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী এদিন দাবি করলেন, ইতিমধ্যেই আধার কার্ড জোর দেওয়া হচ্ছে। সেটাও করা হয়েছে এক দেশ-এক পরিচয়পত্র চালু করার উদ্দেশ্যে। বস্তুত, প্যাটেলের জন্মদিনে সার্বিকভাবে জাতীয় ঐক্যের পক্ষে জোরাল সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সুক্ষ্ম রাজনীতির ছাপও রয়েছে। বিজেপি এবং সংঘ পরিবারের দীর্ঘ এজেন্ডা এক দেশ-এক বিধান, প্রধানমন্ত্রীর নিজের স্বপ্ন এক দেশ-এক নির্বাচন। জাতীয় ঐক্যের মোড়কে আগামী দিনে যে এই দুই পরিকল্পনায় আরও জোর দেওয়া হবে, সেটা বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।