সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: মাঝে ব্যবধান মাত্র দুমাস। ফের আত্মঘাতী হলেন দিল্লির ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির এক পড়ুয়া। বুধবার ওই ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, আদৌ পড়াশোনার পরিবেশ রয়েছে তো আইন বিশ্ববিদ্যালয়ে? অভিযোগ উঠছে, পড়ুয়াদের দুরাবস্থার কথা জেনেও সেদিকে বিশেষ আমল দেয় না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কেবল দিল্লি নয়, দেশের প্রত্যেকটি ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটিরই একই অবস্থা বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
[আরও পড়ুন: পদের অপব্যবহার করে কোটি কোটি বেতন, সেবি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কংগ্রেস]
জানা গিয়েছে, দিল্লির ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির পড়ুয়া অম্রুতাবর্ষিনী সেন্থিল কুমার বুধবার আত্মঘাতী হয়েছেন। তিনি তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন অম্রুতাবর্ষিনী। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে বাকি সপ্তাহের জন্য সমস্ত পঠনপাঠন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, মাস দুয়েক আগেও এই আইন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক পড়ুয়ার আত্মঘাতী হওয়ার খবর মিলেছিল।
আরও একবার পড়ুয়ার আত্মঘাতী হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠছে ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির পঠনপাঠন এবং পড়াশোনার পরিবেশ নিয়ে। অনেকের দাবি, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে পড়াশোনা হয় তা আসলে প্রেশার কুকারের সমান। পড়তে এসে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যান পড়ুয়ারা। তাঁদের পাশে থাকার বদলে কর্তৃপক্ষ উদাসীন থাকে। তার জেরেই বাড়ছে আত্মহত্যার ঘটনা। যদিও এই অভিযোগ নিয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে কিছুই বলা হয়নি। পড়ুয়ার মৃত্যুর খবরে দুঃখপ্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও মৃতার পরিবারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।