সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯/১১ হামলার ধাঁচেই আরও একটি নাশকতার ছক ছিল ওসামা বিন লাদেনের (Osama bin Laden)। ফের আমেরিকাকে রক্তাক্ত করতে চেয়েছিল কুখ্যাত আন্তর্জাতিক জঙ্গি তথা প্রয়াত আল কায়দা প্রধান। সম্প্রতি মার্কিন নেভি সিলসের নথি থেকে জানা গিয়েছে এমনই হাড়হিম করা তথ্য।
[আরও পড়ুন: রুশ গোলায় পরোয়া নেই, কিয়েভে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক মার্কিন বিদেশ ও প্রতিরক্ষা সচিবের]
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার টুইন টাওয়ারে আছড়ে পড়ে দু’টি যাত্রীবাহী বিমান। পেন্টাগনের গায়েও আছড়ে পড়ে একটি বিমান। আল কায়দার পাঠানো আত্মঘাতী জঙ্গিদের ওই হামলার পর ‘মিশন আফগানিস্তান’ শুরু করে মার্কিন ফৌজ।তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জুনিয়রের নেতৃত্বে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে আমেরিকা। আফগান মিলিশিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাস খানেকের লড়াইয়ের পর তালিবানকে কাবুল থেকে বিতাড়িত করে মার্কিন ফৌজ। কিন্তু তারপর পরিস্থিতি পালটেছে। প্রায় দুই দশক কেটে গেলেও তালিবানের বিনাশ সম্ভব হয়নি। আবারও আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরেছে তালিবান। এবং আল কায়দার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক যে রয়েছে সেটা স্পষ্ট।
এহেন পরিস্থিতিতে এবার জানা গিয়েছে যে ৯/১১-এর ধাঁচে আমেরিকার বুকে আরও একটি হামলার ছক ছিল ওসামা বিন লাদেনের। সিবিএস নিউজ সূত্রে খবর, ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে লাদেন নিহত হওয়ার পর বেশকিছু গোপন নথি জনসমক্ষে প্রকাশ করে মার্কিন নেভি সিলস। ওই নথি থেকেই জানা গিয়েছে যে আমেরিকার ১২ মিটার রেল লাইন উপড়ে ফেলতে জেহাদিদের নির্দেশ দিয়েছিল লাদেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটিয়ে আমেরিকায় শয়ে শয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা।
প্রসঙ্গত, আল কায়দা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন লেখক এবং ইসলাম বিশেষজ্ঞ নেলি লাহোদ। এপর্যন্ত ওসামা বিন লাদেনের হাজার হাজার ব্যক্তিগত চিঠি ও নথি খতিয়ে দেখেছেন তিনি। ২০১১ সালে অ্যাবোটাবাদে লাদেনকে খতম করার পর ওই নথি বাজেয়াপ্ত করেছিল মার্কিন ফৌজের বিশেষ বাহিনী নেভি সিলস। লাহোদের মতে, আল কায়দা এটা আশা করেনি যে টুইন টাওয়ার হামলার পর সরাসরি আফগানিস্তানে হামলা শুরু করবে আমেরিকা। বিশেষ করে, লাদেন ভাবতেই পারেনি যে আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু করবে আমেরিকা। প্রয়াত আল কায়দা প্রধানের ধারণা ছিল, ৯/১১ হামলার পর মুসলিম দেশগুলি থেকে সেনা সরাতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করবে আমেরিকার মানুষ। কিন্তু বাস্তবে আল কায়দার অঙ্কে বিস্তর গলদ ছিল।