সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়সের ভার! গতি কমেছে। সেই ক্ষিপ্রতা প্রত্যাশা করাও ভুল। তবে ৫৮ বছর বয়সে রিংয়ে এসে টানা ৮ রাউন্ড লড়াই করে গেলেন 'সর্বকালের সেরা' বক্সার মাইক টাইসন। সাতাশের তরুণ তুর্কির সামনে আটান্নর 'লৌহমানব' জিতে গেলে সত্যিই অঘটন ঘটত। সেই অঘটন ঘটেনি। তবে, টাইসনের হারেও যেন আবেগের বিস্ফোরণ হল টেক্সাসের আর্লিংটন স্টেডিয়ামে।
শুক্রবার কিংবদন্তি টাইসন এবং ২৭ বছরের জেক পলের মধ্যে আট রাউন্ডের লড়াই হয়। প্রতি রাউন্ডে ২ মিনিট করে লড়তে হয়েছে দুই বক্সারকে। অতএব টানা ১৬ মিনিটের লড়াই। বয়সের ভারে মন্থর টাইসন পেরে উঠলেন না। দ্বিতীয় রাউন্ডের পরেই হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। ম্যাচ শেষে তিন বিচারক ঐক্যমতের ভিত্তিতে পলকে জয়ী ঘোষণা করেন। পল জেতেন ৮০-৭২, ৭৯-৭৩, ৭৯-৭৩ পয়েন্টের ব্যবধানে।
যে বক্সার গোটা পেশাদার কেরিয়ারে হেরেছেন মাত্র ৬টি ম্যাচ, তিনিই কিনা হেরে গেলেন তরুণ বক্সারের কাছে। খানিক আবেগপ্রবণ হয়ে গেলেন তিনি। ম্যাচ শেষে বড় দাদার মতো জড়িয়ে ধরলেন পলকে। যে মাইক টাইসন পরিচিত লৌহমানব হিসাবে, এভাবে আবেগি হতে বেশি দেখা যায় না তাঁকে। বরাবরই তিনি 'রাফ অ্যান্ড টাফ'। বিতর্কের মধ্যে থাকতেই যেন পছন্দ করেন। এই ম্যাচের আগেও জড়িয়েছেন বিতর্কে। এই পলকেই তিনি চড় মেরে বসেছিলেন। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকের মধ্যে প্রতিপক্ষকে হঠাৎ চড় মারার সেই দৃশ্য ভাইরাল হয়ে যায় নিমেষে। সেই মাইক টাইসন আজ আবেগি।
টাইসনের সেই চড় হয়তো আশীর্বাদের মতো পলের কাছে। নাহলে রিংয়ের লৌহমানবকে এত অনায়াসে হারানোর সুযোগ কে-ই বা পান। হোক না বয়সের ব্যবধান ৩১ বছরের। হোক না মন্থর গতির হাপিয়ে ওঠা প্রতিপক্ষ। তবু তিনি মাইক টাইসন, তবু তিনি 'লৌহমানব', তবু তিনি 'সর্বকালের সেরা'।