সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে শেখ হাসিনাকে। তারপর থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। সোমবার রাতেই সংঘর্ষে অন্তত দু’জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তার আগেই থেকেই ঢাকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। যার জেরে বিপদে পড়েছিল ভারতীয় তিরন্দাজ দল। বিমান পরিষেবা বাতিল হওয়ায় ১১ জনের দল ঢাকায় আটকে ছিলেন। পাশাপাশি থাকার জায়গাও একেবারেই ভালো ছিল না। সব মিলিয়ে চরম বিপাকে পড়ে ভারতের তিরন্দাজ দল।
২০২৫-র আর্চারি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ হয়েছে ঢাকায়। ভারত থেকে ২৩ জনের দল গিয়েছিল বাংলাদেশে। কলকাতা, মুম্বই ও দিল্লি থেকে তিনভাগে দল প্রতিবেশী দেশে পৌঁছয়। ঝুলিতে ১০টি মেডেলও ঢুকেছে ভারতের। যার মধ্যে ৬টি সোনা, ৩টি রুপো ও একটি ব্রোঞ্জ রয়েছে। যা শেষ হয় ১৪ নভেম্বর। পরদিন ফেরার সময় ১১ জনের একটি দল বিপদে পড়ে। ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছে তাঁরা জানতে পারেন, বিমান যাত্রা ১০ ঘণ্টা পিছিয়ে গিয়েছে। এমনকী বিমান পরিষেবা দেওয়ার সংস্থা থেকে কোনও রকম সাহায্য করা হয়নি বলে তাঁদের দাবি।
ভারতের আর্চারি দলের ৭ জন রাত দুটো পর্যন্ত বিমানবন্দরেই অপেক্ষা করেন। তারপর জানতে পারেন, বিমান বাতিল করা হয়েছে। বাধ্য হয়েই তাঁরা রাতে থাকার একটি জায়গা খোঁজেন। অর্জুন পুরস্কার প্রাপ্ত অভিষেক বর্মাও ছিলেন এই দলে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, "আমাদের যেখানে থাকতে দেওয়া হয়েছিল, সেটা কোনও হোটেল নয়। বড় জোর ধরমশালা বলা যেতে পারে। সেখানে একটা ঘরে ছ'টা বিছানা ছিল। একটা শৌচাগার ছিল এবং সেটা অত্যন্ত অপরিষ্কার ছিল।"
তাঁর ক্ষোভ, "যেখানে বিমান বাতিল, বাইরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, সেখানে কেন আমাদের সাধারণ বাসে তোলা হল? আমাদের সঙ্গে তিনজন কিশোরী-সহ মোট ৭জন মহিলা ছিল। যদি বাসে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেত, কে দায়িত্ব নিত?" পরদিন সকালেই তাঁরা ফের বিমান বন্দরে আসেন। তখনও বিমান পরিষেবা বিলম্ব হতে থাকে। যার ফলে অনেকে দিল্লিতে পৌঁছেও নিজেদের বাড়ি ফিরতে সমস্যায় পড়েন। উল্লেখ্য, হাসিনার রায়দান ঘিরে গোটা বাংলাদেশে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলি চালানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল পুলিশকে। ঢাকার একাধিক প্রধান সড়কে নেমে প্রতিবাদে শামিল হন কাতারে কাতারে মানুষ। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে পুলিশ।
