সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইংল্যান্ড সিরিজে তিনটি টেস্ট খেলেছেন জশপ্রীত বুমরাহ। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের সমস্যা ভুগিয়েছে তাঁকে। সমস্ত টেস্টে খেলেননি বলেই নানান মহল থেকে সমালোচিত হতে হয়েছে তাঁকে। অদ্ভুত বোলিং অ্যাকশনের কারণে অতিরিক্ত চাপে নাকি ভেঙে পড়ে তাঁর শরীর। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, সেই অ্যাকশন বজায় রাখতে অনেক আত্মত্যাগ করতে হয়েছে তাঁকে। বিশেষত খাদ্যাভ্যাসেও বদল আনতে হয়েছে বুমরাহকে। সে কথাই এবার প্রকাশ্যে এনেছেন ভারতের প্রাক্তন বোলিং কোচ ভরত অরুণ। তিনিও এ কথাও বলেন, বুমরাহর বোলিং অ্যাকশন বদলের কথা ভেবেছিলেন।
শুনলে অবাক হবেন অনেকেই, বুমরাহর বোলিং অ্যাকশন বদল করার চেষ্টা করা হয়েছিল। যদিও একটা বিশেষ কারণে আসল অ্যাকশনই ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়? সংবাদমাধ্যমকে অরুণ বলেন, "২০১৩ সালের কথা। সেই সময় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের শিবির চলছিল এনসিএ'তে। সেখানে এসেছিল বুমরাহ। কিন্তু দলে ঢুকতে পারেনি। তবে ৩০ জনের দলে ছিল ও। একথা সত্য যে, বুমরাহর বোলিং অ্যাকশন পরিবর্তন করতে চেয়েছিলাম আমরা। ওর বলের গতি বাড়ানোই লক্ষ্য ছিল। নতুন অ্যাকশনটাও কিন্তু দারুণ ছিল। তবে, বলের গতি কমে গিয়েছিল। কিছুতেই জোরে বল করতে পারছিল না। নতুন অ্যাকশনে যদি গতিই না আসে, তাহলে তো কোনও লাভ নেই।"
তিনি আরও বলেন, "ওর বলে কিন্তু দারুণ গতি ছিল। তাই আমরা ফিজিও এবং স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বলেছিলাম, ওর অ্যাকশন নিয়ে কথা বলতে চাই না। কারণ এটি খুবই অনন্য। এই অ্যাকশন নিয়ে ও দারুণ গতিতে বল করতে পারে। যদিও এই অ্যাকশনের ফলে ওর শরীরে প্রচুর চাপ পড়ত।"
শরীর ঠিক রাখতে বুমরাহকে খাদ্যাভ্যাসে অনেক পরিবর্তন আনতে হয়। অরুণের সংযোজন, "ওকে বলি পেস বোলার হতে গেলে ষাঁড়ের মতো শক্তি চাই। সেই কারণে অনেক আত্মত্যাগ করতে হবে। সঙ্গে ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করতে হবে। শরীরচর্চারও প্রয়োজন। বুমরাহ কিন্তু সব মেনে নিয়েছিল। এরপর ও নিয়মিত জিমে যেত। খাওয়াদাওয়াও নিয়ন্ত্রণ করত। বিরাট কোহলির মতোই ফিটনেস নিয়ে খুবই দায়বদ্ধ ছিল বুমরাহ। ওর প্রিয় খাবার ছিল পিৎসা, বার্গার, মিল্কশেক। সব কিছু ছেড়ে দিয়েছিল। ওর কাছে প্রিয় খাবারের চেয়েও প্রিয় ছিল বোলিং।"
