সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৮ সালের পর প্রতিটি অলিম্পিকে কুস্তি থেকে পদক এসেছে ভারতের ঝুলিতে। মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেশি হওয়ার দরুন ভিনেশ ফোগাট যখন ছিটকে গেলেন, মনে হচ্ছিল এবার হয়তো কুস্তির ঝুলি শূন্য থাকবে। কিন্তু শেষবেলায় সেই শূন্যতা ঘুচিয়ে দিলেন ২১ বছর বয়সি তরুণ কুস্তিগির আমন শেরাওয়াত। ভারতের সর্বকনিষ্ঠ অ্যাথলিট হিসেবে অলিম্পিকে পদক জিতলেন তিনি।
শুক্রবার রাতে ৫৭ কেজি ফ্রিস্টাইল বিভাগে পুয়ের্তো রিকোর দারিয়ান ক্রুজকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন আমন। তিনি ম্যাচ জেতেন ১৩-৫ পয়েন্টে। আমনের হাত ধরে ষষ্ঠ পদক এল দেশে। অথচ যে কারণে ভিনেশ ফোগাটের পদক হাতছাড়া হয়েছে সেই পরিস্থিতি হয়েছিল আমনেরও। প্রথম দিনের তিনটি ম্যাচের পর তাঁর ওজন বেড়ে গিয়েছিল ৪.৬ কেজি। মাত্র ১০ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে সেই ওজন কমিয়ে নির্ধারিত মাত্রায় আনেন তিনি।
[আরও পড়ুন: সোনাজয়ী নাদিমকে অবশেষে যোগ্য সম্মান! ১০ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা পাকিস্তানের]
প্রথম দিনের প্রতিযোগিতার শেষে আমনের ওজন দাঁড়ায় ৬১.৫ কেজি। হাতে সময় ছিল ঘণ্টা দশেক। এই ১০ ঘণ্টায় তাঁকে ওজন কমাতে হত সাড়ে চার কেজির বেশি। সূত্রের খবর, তৃতীয় বাউট শেষে আমনকে প্রায় ঘণ্টাখানেকের হট বাথ দেওয়া হয়। তারপর প্রায় ১ ঘণ্টা টানা ট্রেডমিলে সময় কাটান। এর পর আধ ঘণ্টার একটু বিরতি। এর পর মিনিট পাঁচেকের জন্য 'সউনা বাথ' দেওয়া হয়। ওই বিশেষ পদ্ধতিতে দেহের ওজন কমানো হয়। কিন্তু তারপরও তাঁর ওজন বেশি ছিল প্রায় ৯০০ গ্রাম। আবার শুরু হয় জগিং এবং কসরত। ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ আমনের ওজন নেমে আসে ৫৬.৯ কেজিতে। স্বস্তি পায় টিম ম্যানেজমেন্ট।
[আরও পড়ুন: নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবারকে ফোন মমতার, দোষীদের শাস্তির আশ্বাস]
এর পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আমন যদি এতটা ওজন কামাতে পারেন, তা হলে ভিনেশ কেন মাত্র ২০০ গ্রাম ওজন কমাতে পারলেন না? তা হলে এর জন্য দায়ী কে? ভিনেশের ব্যক্তিগত টিম না কি ভারতীয় অলিম্পিক দলের সঙ্গে আসা চিকিৎসকদের দল?