সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: মহেশতলার নুঙ্গিতে বাজি কারখানার বিস্ফোরণে (Blast) ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের জালে বাড়ির মালিক। মঙ্গলবার সকালে ভরত হাতি নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মহেশতলা (Maheshtala) থানার পুলিশ। ওই বাড়িতে বাজি তৈরির কোনও বৈধ লাইসেন্স ছিল কি না, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।
সোমবার সন্ধেবেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের পুটখালি মণ্ডলপাড়ায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে একটি বাজি (Crackers) কারখানায়। ঘটনাস্থলেই ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। মৃতরা কারখানার মালিকের স্ত্রী লিপিকা হাতি এবং তাঁর ছেলে শান্তনু হাতি এবং প্রতিবেশী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আলো দাস। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকল কর্মীদের পাশাপাশি মহেশতলা এবং বজবজ থানার পুলিশও পৌঁছয়। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশেপাশের বাড়ির জানলার কাচ, দেওয়ালে ফাটল ধরেছে বলে খবর। আতঙ্ক রয়েছে এলাকায়।
[আরও পড়ুন: শিক্ষা দুর্নীতি মামলা: অয়ন শীলের বান্ধবী সুন্দরী অভিনেত্রীর সন্ধান, ইডির নজরে এবার ‘শ্বেতা’]
এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন সুজিত বসু ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। তিনি জানান, ফরেনসিক দলকে ঘটনাস্থলে আসার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। আজ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দলের ঘটনাস্থলে আসার কথা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। যে বাড়িতে বাজি তৈরি হচ্ছিল, তাদের কোনও বৈধ লাইসেন্স (Liscence) ছিল কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। মন্ত্রী মৃতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। সমগ্র ঘটনায় আতসবাজি ইউনিয়নের সম্পাদক সুখদেব নস্কর মৃত ওই নাবালিকার পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে ঘটনার জেরে সোমবার থেকে এখনও যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।