সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলিউড ছবি মুক্তি পাওয়ার আগে শেষ কবে বিক্ষোভের এমন ভয়ংকর রূপ দেখেছে এ দেশ মনে করা কঠিন। কিন্তু সঞ্জয় লীলা বনশালির পদ্মাবতী নিয়ে গোটা দেশ যেভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে তা দেশবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। ইতিহাস ও সংস্কৃতি রক্ষায় হিন্দু সংগঠনগুলির এমন হিংসাত্মক রূপ দেখে অবাক সিনেদুনিয়ার কলাকুলশীরাও। সেট ভাঙচুর, পোস্টার পোড়ানো, নাক কেটে ফেলা, মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি তো রয়েইছে, সেই সঙ্গে পদ্মাবতীর মুক্তি রুখতে নেওয়া হয়েছে আরও একটি পদক্ষেপ। ছবি নিষিদ্ধ করার দাবিতে রক্তে লেখা সই জোগাড় করা করছে সর্ব ব্রাহ্মণ মহাসভা। আর পদ্মাবতীর মুক্তি নিয়ে কর্ণি সেনা ও অন্যান্য সংগঠনগুলি যখন তীব্র বিরোধিতা দেখাচ্ছে, ঠিক তখনই ছবির পরিচালক ও নির্মাতাদের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন সিবিএফসি চেয়ারম্যান প্রসূন যোশী।
[‘পদ্মাবতী’ বিতর্কে এবার মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়]
বিতর্ক থামাতেই মুক্তির আগে স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন বনশালি। অথচ সব জেনেশুনেও প্রসূনের বক্তব্য, মুক্তির আগে ছবি প্রদর্শন করে সার্টিফিকেশনের নিয়ম ভাঙছেন নির্মাতারা। এমন অসম্পূর্ণ অবস্থায় ছবি দেখানো ঠিক হচ্ছে না বলেই মত তাঁর। প্রসূন যোশীর প্রতিক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী শাবানা আজমিও। পদ্মাবতীর সমর্থনে সুর চড়িয়ে অভিনেত্রী বলছেন, সিবিএফসি চেয়ারম্যান যা বলছেন তাতে তো আগুনে ঘি ঢালা হচ্ছে। পাশাপাশি ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলা গোয়া আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসব বয়টকেরও ডাক দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, এই সবকিছুতে সংস্কৃতি ধ্বংস হচ্ছে। আর তাই চলচিত্র উৎসবে মেতে ওঠার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না অভিনেত্রী।
[কাশ্মীরের মজিদকে ফুটবলে ফেরাতে হাত বাড়ালেন বাইচুং]
এদিকে, রাজপুতদের বিক্ষোভের জেরে পর্যটকদের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল চিতোর দুর্গ। এবার সেই আগুন আরও ছড়ানোয় বন্ধ করে দেওয়া হল কুম্ভলগড় দুর্গও। একের পর এক শাসানি দিয়ে চলেছে হিন্দু সংগঠনগুলি। কিন্তু পদ্মাবতী ওরফে দীপিকা পাড়ুকোণ কোনও হুমকিকেই ভয় পাচ্ছেন না। তাঁর নাক কেটে নেওয়ার হুমকি প্রসঙ্গে নায়িকার সাফ বক্তব্য, “এ দেশের আইনের উপর আমার যথেষ্ট ভরসা রয়েছে। আমি জানি আমার কোনও ক্ষতি হবে না।” সবমিলিয়ে ছবি মুক্তির আকাশে যে এখনও ঘন কালো মেঘ রয়েছে তা বেশ স্পষ্ট।
The post ‘পদ্মাবতী’র বিক্ষোভে এবার আগুনে ঘি ঢাললেন প্রসূন appeared first on Sangbad Pratidin.