সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) সেনা কর্তারা আসলে ‘ব্যবসায়ী’। এমনই কটাক্ষ করার জন্য ‘মাসুল’ গুনতে হল বর্ষীয়ান পাক সাংবাদিক আয়াজ আমিরকে। পাক সেনার নিন্দা করার জন্য গাড়ি থামিয়ে তাঁকে নিগ্রহ করা হল রাস্তার উপরেই। মারধর করার পাশাপাশি ছিঁড়ে দেওয়া হল পোশাক। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সদ্য গদিহারা ইমরান খান (Imran Khan)। তাঁর মতে, এই ঘটনা প্রমাণ করছেন পাকিস্তানে কীভাবে ফ্যাসিজম চরম আকার ধারণ করেছে।
গত বৃহস্পতিবার একটি সেমিনারে অংশ নিয়েছিলেন ওই সাংবাদিক। সেখানেই এমন মন্তব্য করেন তিনি। পাকিস্তানের সেনাকর্তাদের ‘ব্যবসায়ী’ বলে কটাক্ষ করার পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া দীর্ঘ ৬ বছর ধরেই পদে রয়েছেন। এবং এরপরও তিনি ‘এক্সটেনশনে’র অপেক্ষায় রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: বুর্জ খালিফার পর ফের থিমভাবনায় চমক শ্রীভূমির, এবারের আকর্ষণ কী? জানালেন সুজিত বসু]
এরপরই বিতর্ক চরমে ওঠে। আর তার জেরেই হামলার সম্মুখীন হতে হয় আমিরকে। তিনি জানিয়েছেন, আততায়ীদের মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। তারা তাঁকে গাড়ি থামাতে বাধ্য করেন। তারপর গাড়ি থেকে বের করে এনে বেধড়ক মারধর করেন। ছিঁড়ে দেওয়া হয় তাঁর পোশাক। পাশাপাশি তাঁর ফোন, ওয়ালেটও ছিনিয়ে নেয় তারা। রাস্তায় ততক্ষণে ভিড় জমতে শুরু করেছে। বেগতিক দেখে দ্রুত সেখান থেকে চম্পট দেয় আততায়ীরা।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ইমরান। তিনি জানিয়েছেন, ”আমি কড়া ভাষায় এই ধরনের হামলার নিন্দা করছি। পাকিস্তান অত্যন্ত খারাপ ধরনের ফ্যাসিজমের মধ্যে দিয়ে চলেছে। সাংবাদিক, বিরোধী রাজনীতিক ও আমজনতার বিরুদ্ধে এফআইআর হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: রবি ঠাকুর থেকে গান্ধীজি, আম্বেদকর, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশাধিকার পাননি এঁরাও]
তবে ইমরান আমিরের পাশে দাঁড়ালেও বৃহস্পতিবারের সভায় কিন্তু আমির আগের সরকারকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন, বিগত ইমরান সরকারের ভুলের কারণেই এপ্রিলে সরকার পড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী হামজা শেহবাজ তদন্তের নির্দেশ দিলেও এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি।