সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যাপক বিদ্যুৎ সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান (Pakistan)। দেশে জ্বালানির অভাবে বিদ্যুৎ তৈরি করা যাচ্ছে না। তাই যেভাবে হোক বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাক সরকার। ইতিমধ্যে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে উৎসাহ দিচ্ছে সরকার। নতুন একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার বন্ধ থাকবে সমস্ত কর্মক্ষেত্র। আরও বলা হয়েছে, বিদ্যুতের সাশ্রয় করতে রাত দশটার আগেই শেষ করে ফেলতে হবে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান।
সরকারি অফিসের বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতেও বেশ কিছু কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সরকারি অফিসারদের জন্য বরাদ্দ করা বিদ্যুতের পরিমাণ কমানো হবে। আগের তুলনায় চল্লিশ শতাংশ কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হবে সরকারি অফিসগুলিতে। আধিকারিকদের জন্য গাড়ি বা এসি কেনা হবে না। দেশের তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম ঔরঙ্গজেব বলেছেন, “চেষ্টা করছি আগের তুলনায় বিদ্যুতের ব্যবহার দশ শতাংশ কমিয়ে ফেলতে।”
[আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনা পাকিস্তানে, পাহাড় থেকে গাড়ি পড়ে মৃত্যু ২২ আরোহীর]
এছাড়াও বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে। প্রতি শুক্রবার বাধ্যতামূলক ভাবে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে নির্দেশ দিতে পারে পাক সরকার। এছাড়াও একদিন পরপর রাস্তার আলো নিভিয়ে রাখা হবে কিনা, সেই নিয়েও কথা চলছে স্থানীয় আধিকারিকদের সঙ্গে। ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠান রাত দশটার আগেই শেষ করে ফেলতে হবে। তারপরে বেশি আলো জ্বালিয়ে রাখা যাবে না (Pakistan Power Crisis)।
দেশে জ্বালানির পরিমাণ ফুরিয়ে আসছে। তাই সাংঘাতিক ভাবে বাড়ছে জ্বালানির দাম। আশঙ্কায় পেট্রল কিনে মজুত রাখতে চাইছেন পাক জনতা। একটি পাক সংবাদপত্র দাবি করেছে, লিটার প্রতি ২১০ টাকা করে দাম দিয়েও জ্বালানই কিনে রাখছেন সাধারণ মানুষ। গত মাসের শেষেই এক ধাক্কায় তিরিশ টাকা বেড়ে গিয়েছিল পেট্রলের দাম। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বলেছেন, এখনই জ্বালানির দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের। কিন্তু তাতেও কমছে না সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা।