সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৮ সাল থেকেই ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (FATF) ‘ধূসর তালিকা’ভুক্ত পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক এই সংস্থার সেই তালিকা থেকে গত চার বছরেও বেরতে পারেনি ইসলামাবাদ। কিন্তু এবার সম্ভবত ‘শাপমুক্তি’ হতে চলেছে। বার্লিনে বসছে FATF-এর নতুন বৈঠক। ১৪ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত বৈঠক চলবে। এই বৈঠকেই ‘ধূসর তালিকা’ থেকে মুক্তি পেতে পারে পাকিস্তান (Pakistan)। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি তেমনই।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (Financial Action Task Force) বা এফএটিএফ গোটা বিশ্বে অর্থপাচার তথা সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত সংক্রান্ত বিষয়টি নজর রাখে। লস্কর ও জইশের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে আর্থিক মদত দেওয়া জন্য ২০১৮ সালেই পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকা’ভুক্ত করে তারা। এই বিষয়ে সংস্থার তরফে পাক সরকারকে একাধিকবার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। সেই সময় বলা হয়েছিল, আগামী দিনে তাদের (পাকিস্তান) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
[আরও পড়ুন: ‘প্রমাণ নেই’, দুর্নীতি মামলায় স্বস্তি পেলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ]
২০১৯-এর অক্টোবরের মধ্যে তাদের বেঁধে দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করার জন্য চাপ দিয়েছিল এফএটিএফ। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তা পূরণ করতে পারেনি পাকিস্তান। ফলে ওই তালিকাতেই রেখে দেওয়া হয় তাদের। সঙ্গে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল, ২০২০-র এপ্রিলের মধ্যে সব শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হলে ‘কালো তালিকা’ভুক্ত করা হবে। যদিও ওই সময়ের মধ্যে শর্তপূরণ করতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান।
এরপর কেটে গিয়েছে আরও প্রায় দেড় বছর। আজও সেই তালিকা থেকে বেরতে পারেনি পাকিস্তান। গত জানুয়ারির বৈঠকের সময়ই জানা গিয়েছিল, এফএটিএফের দেওয়া ২৭টি শর্তের মধ্যে ২৬টি পূরণ করেছে ইসলামাবাদ। ফলে তাদের ওই তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা তখনই তৈরি হয়েছিল। সেই সম্ভাবনাই সত্যি হতে পারে এবার। বরাবরই জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ পাক প্রশাসনের বিরুদ্ধে। যা আন্তর্জাতিক আঙিনায় বারবার মুখ পুড়িয়েছে তাদের। মুদ্রাস্ফীতি কিংবা সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতনের অভিযোগে এমনিতেই কোণঠাসা ইসলামাবাদ। এখন সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই তালিকা থেকে বেরতে মরিয়া তারা। শেষ পর্যন্ত বৈঠকে কী হয় সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।