সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়। হিন্দু ও খ্রিস্টান-সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের সম্পত্তি দখল করে নেওয়া থেকে তাদের নির্বিচারে হত্যা করা কিংবা মেয়েদের ধর্ষণ ও অপহরণের পর জোর করে বিয়ে। সবই চলছে ইমরান খানের সরকারের মদতে। এবার হিন্দু ও খ্রিস্টান মহিলাদের চিনের নাগরিকদের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ড্রাগনের দেশে যৌনদাসী করে পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল। সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট করেছেন এক মার্কিন আধিকারিক। তারপরই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি এই রিপোর্টটি হোয়াইট হাউসে জমা করেছেন ইউএস অ্যাম্বাসাডার অ্যাট লার্জ ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম স্যামুয়েল ডি ব্রাউনব্যাক। তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, চিনের প্রভাবশালী নাগরিকদের সন্তুষ্ট করার জন্য পাক অধিকৃত কাশ্মীরের হিন্দু ও খ্রিস্টান মেয়েদের জোর করে তাদের রক্ষিতা বা যৌনদাসী বানাচ্ছে পাকিস্তান। জোর করে বিয়ে দিয়ে তাঁদের চিনে পাঠানো হচ্ছে। পুরো বিষয়টিতে মদত রয়েছে ইমরান খানের সরকারের।
[আরও পড়ুন: ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করতে পারে ভারত! আশঙ্কায় কাঁপছে পাকিস্তান, জারি সতর্কতাও]
ওই মার্কিন আধিকারিকের আরও অভিযোগ, পাকিস্তানে যে সংখ্যালঘু মানুষদের কোনও নিরাপত্তা নেই এই ধরনের ঘটনা তারই প্রমাণ। পাকিস্তানের প্রশাসনের মদতেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েদের অপহরণ করা হচ্ছে। তারপর তাদের জোর করে চিনে পাঠানো হচ্ছে। সেখানকার প্রভাবশালী নাগরিকদের যৌন বাসনা পূরণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ওই মেয়েদের। যৌনদাসী করে রেখে দেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র ২০১৯ সালেই ৬১৯ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েকে যৌনদাসী হিসেবে চিনে পাঠানো হয়েছে।